Friday, March 14, 2025
Homeস্বাস্থ্যযশোরে ডেঙ্গুজ্বরে গত ১৩ মাসে আক্রান্ত ১৩৪৬, মারা গেছে ৬জন

যশোরে ডেঙ্গুজ্বরে গত ১৩ মাসে আক্রান্ত ১৩৪৬, মারা গেছে ৬জন

মোকাদ্দেছুর রহমান রকি

গত ১৩ মাসে যশোর জেলায় ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে ১৩৪৬ জন। এ রোগে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছে ৬জন। বর্তমানে যশোর জেলায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত প্রায় শুন্য কোটায় নেমেছে। এ তথ্য জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে মিলেছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গত ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারী থেকে চলতি বছরের ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত জেলার সদরের পৌরসভাসহ ৮ উপজেলায় এডিস মশা কামড়ে চিকুন গুনিয়া ও ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৩শ’ ৪৬ জন। মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন ৬জন।

জেলায় সবচেয়ে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশী যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। এখানে ভর্তি হয়েছিল ২৮৭ জন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগীর তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছিল অভয়নগর। অভয়নগর উপজেলাকে রেড জন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে। এই উপজেলায় গত ১৩ মাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪০৬জন।

এছাড়া, ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহন করেন ১৬৬জন, কেশবপুরে ১৪১জন, চৌগাছায় ১০৫ জন, মণিরামপুর উপজেলায় ৮৮জন, শার্শা উপজেলায় ৮১জন ও বাঘারপাড়া উপজেলায় ৭২জন। ডেঙ্গুজ্বরে প্লাটিলেট নীচে নেমে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন ৬জন। এর মধ্যে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৫জন ও ১জন মণিরামপুর উপজেলায়।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে বলা হয়েছে, গত বছরের জানুয়ারী মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হন ১৩জন। ফেব্রুয়ারী মাসে মাত্র ২জন। মে মাসে আক্রান্ত হন ৭জন মারা যান ১জন। জুলাই মাসে ১২জন আক্রান্ত হলেও মারা যায় ১জন। জুন মাসে আক্রান্তর তালিকায় ৩জন, মার্চ ও এপ্রিল মাসে কোন ডেঙ্গু জ্বরে রোগী সনাক্ত হয়নি। তবে আগষ্ট মাসে আক্রান্তর শিকার হন ১৭৪জন। সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুজ্বরের প্রার্দুভাব দেখা দিয়ে আক্রান্ত হন ২৩৯জন। অক্টোবর মাসে তার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৩৬৪জন, মারা যায় ১জন। নভেম্বর মাসে ডেঙ্গুজ্বর প্রার্দুভাব এমন পর্যায় পৌছায় রীতিমতো আতংক অবস্থা সৃষ্টি হয়।

এ মাসে আক্রান্তর তালিকায় স্থান পান ৪০৮জন মারা যান ২জন। ডিসেম্বর মাসে ডেঙ্গুজ্বরে রোগী হন ১২০জন মারা যান ১জন। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে ৪জন। এর মধ্যে অভয় নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩জন ও যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১জন ভর্তি হন। ডেঙ্গুজ্বর সম্পর্কে চিকিৎসকগন মনে করেন, সচেতনতায় এ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সাধারণত এডিস জাতীয় মশা জমে থাকা পরিস্কার ও স্বচ্ছ পানিতে এ মশা তাদের প্রজনন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এডিস জাতীয় মশার কামড় এ রোগের প্রধান লক্ষন। বর্তমানে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তর তেমন খবর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র থেকে পাওয়া যাচ্ছেনা। সেক্ষেত্রে আমরা ধরে নিতে পারি আপাতত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী শুন্যর কোটায়।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আলোচিত