সত্যপাঠ ডেস্ক
দেশে ছিনতাই, খুন, ডাকাতি ও রাহাজানি বেড়েই চলেছে। মব ভায়োলেন্স (সংঘবদ্ধ অপরাধ) চলছে। সরকারের দিক থেকে এসব কর্মকাণ্ড থামানোর কোনো উদ্যোগ নেই।
বৃহস্পতিবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় উপস্থিত নেতারা এ কথা বলেন। রাজধানীর তোপখানা রোডের মুক্তি ভবনে বাম জোটের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতির কারণে জনজীবনের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা যায়নি। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার ব্যর্থ। এসব বিষয়ে সরকার তার দায় অস্বীকার করতে পারে না। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মুখে আমরা শুনছি যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাকি স্বাভাবিক আছে।
বাম জোটের নেতারা আরও বলেন, আমরা মনে করি, সরকারের এসব বিষয়ে স্পষ্ট দায় স্বীকার ও কার্যকর ভূমিকা রাখা উচিত। একই সঙ্গে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা উচিত।
সভা থেকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে আগামী বুধবার সারা দেশে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবিরের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।