বিশেষ প্রতিনিধি
যশোর উপশহর ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য ভাগাভাগির অভিযোগ উঠেছে। ৯১৮টি কার্ডের মধ্যে বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা মিলে ৪৬০ টি কার্ডের পণ্য ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করে। এই অনিয়মের প্রতিবাদে কার্ডধারীরা হট্টগোল করে। ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার উপশহর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দ্বীপ সাংবাদিকদের জানান, ডিলার সাগর ট্রেডার্স এর মালিক সাগর উপশহর ইউনিয়নের ৯১৮জন কার্ডধারীর মাঝে ৪৫০জনের টিসিবি পণ্য বিতরণের জন্য সোমবার বিকালে উপশহর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আসেন। বাকি মালামাল পাওয়ার পরে আবার দিবেন। কিন্তু পণ্য বিতরণের আগেই ওই ৪৫০ কার্ডের পণ্য ভাগাভাগি হয়ে যায়।
এরমধ্যে বিএনপি সমর্থিত কতিপয় নেতারা ৩০০টি, জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের নেতারা ১০০টি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা ৬০টি কার্ডের পণ্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়। যার ফলে প্রকৃত কার্ডধারী মালামাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। টিসিবির মালামাল নিতে আসা কার্ডধারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে হট্টগোলে জড়িয়ে পড়ে। খরব পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। এসময় তিনি প্রকৃত কার্ড ধারীকে টিসিবি পণ্য দেয়ার নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগীরা আরও জানিয়েছেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর স্থানীয় বিএনপির ৭/৮জন নেতা-কর্মীরা পরিষদে এসে পণ্য বিতরণ বন্ধ করে দেন। পরে মাইকিং করে পণ্য বিতরণের দিন জানিয়ে দেয়া হবে বলে উপস্থিত কার্ডধারীদের জানান এবং সকলকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, এর আগে কার্ডধারীরা উপশহর বিএনপির সভাপতি আবু হোসেনের স্বাক্ষরিত তালিকায় থাকা মানুষের মাঝে পণ্য বিতরণের প্রতিবাদ করেন। এতে করে উভয়ের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
উপশহর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু হোসেন জানিয়েছেন, টিসবির পণ্য ভাগাভাগির অভিযোগ মিথ্যা। ৪৫০টি স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়েছে। তারা স্মার্ট কার্ড এখনো তারা হাতে পাননি। তাই ন্যাশনাল আইডি কার্ডে তিনি স্বাক্ষর করেছেন। ঐ স্বাক্ষরযুক্ত কার্ড নিয়ে আসলে রেখে দিয়ে পণ্য তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানিয়েছেন, টিসিবির পণ্য লুট বা ভাগাভাগি করে নেয়ার খবর শুনে উপশহর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোন সত্যতা মেলেনি। তবে কার্ডধারীদের মধ্যে পণ্য বিতরণ না করে আইডি কার্ডে স্থানীয় এক ব্যক্তির স্বাক্ষরে পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। যা বিতরণের আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। টিসিবি নিতে আসা নারী-পুরুষরা ঘন্টা আবার ঘন্টা অপেক্ষা করেও টিসিবি পণ্য নিতে পারেনি।