শেখপাড়া প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস বলেছেন, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ, আর মানুষের মধ্যেও শ্রেষ্ঠ হলো নারী। কারণ একজন নারীই আরেকজন মানুষের জন্ম দিতে পারে। তোমরা পড়াশোনা করবে, জ্ঞান অর্জন করবে, তারপর সেই জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেবে সবার মাঝে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলার শেখপাড়া রাহাতননেছা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ-২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্নিগ্ধা দাস আরও বলেন, আমাদের সবার আগে ভালো মানুষ হয়ে উঠতে হবে, নইলে জীবনের সব অর্জন অর্থহীন হয়ে যাবে। এখানে উপস্থিত প্রতিটি মেয়ে একেকটি মূল্যবান রত্ন, যাদের যথাযথভাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সবার। একজন মেয়ে শিক্ষিত হলে সে আত্মনির্ভরশীল ও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে; তাকে কারও বোঝা হয়ে থাকতে হয় না। তোমরা যদি শিক্ষিত হও, তাহলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবে, নিজের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা পাবে। তাই এখন থেকেই নিজ নিজ লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাও।
অনুষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস এবং প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হুমায়ুন বাবর ফিরোজ। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মাসুদ করিম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সুলতান আলী, উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মতিউর রহমান, ত্রিবেণী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাফর ইকবার মোল্লা, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লাবলু মন্ডল
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মাসুদ করিম বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে নারী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতিকূল পরিবেশে এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। মাত্র ১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে উপজেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান কুইজ, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের আয়োজন করছে। প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার প্রসারেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করা।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমরা নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করি, তাই বাল্যবিবাহসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমরা চেষ্টা করি সেগুলো সমাধান করে এগিয়ে যাওয়ার। বর্তমানে বাল্যবিবাহের হার অনেক কমে গেছে।
প্রধান আলোচক অ্যাড. হুমায়ুন বাবর ফিরোজ বলেন, প্রতিযোগিতার কোনো শেষ নেই। তাই পড়াশোনা করতে হবে। নিজের অধিকার বুঝে নিতে হবে। জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীরা অনেক আত্মত্যাগ করেছে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। এর ফলেই আমরা আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছি।