কেশবপুর প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুরে সাংবাদিকের বাড়িতে সহিংস তান্ডব ও লুটের ঘটনায় সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দায়েরের পর উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিশ করেছে সেনাবাহিনী। শনিবার সকালে কেশবপুর সেনা ক্যাম্পে এই নালিশ অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে প্রতিপক্ষ রজব আলী গং ও সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আলফুয়াদ সহ তার পরিবার উপস্থিত হন। বিরোধপুর্ন জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় সেনাবাহিনী রজব আলী গংদের বিপক্ষে রায় প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতে সাংবাদিক পরিবারে নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে একটি মুসলেকায় রজব আলী গং দের স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
মুচলেকায় উল্লেখ থাকে যে, যেহেতু সাংবাদিক পরিবারে উল্লিখিত জমির দলিল, নাম পত্তন, রেকর্ড ও অনলাইনের খাজনা সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকায় সম্পত্তিটি সাংবাদিক পরিবারের দখলে থাকবে। আদালতের রায় না পাওয়া পর্যন্ত যদি সাংবাদিক পরিবারের উপর কোন ধরনের হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে তাহলে সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদের পিতা শহিদুল্লাহ বলেন, তিনি ১৯৮৪ সালে রজব আলীর নিকট থেকে ২০ শতক জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে উক্ত জমি কেশবপুর সোনালী ব্যাংক শাখা নিলাম করলে পুনরায় তিনি উক্ত জমি তার কাছ থেকে ক্রয় করেন।
উল্লেখ্য, জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কেশবপুর শহরের মধ্যকুল গ্রামের শহিদুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদের পরিবারের সাথে পার্শ্ববর্তী মৃত আমির আলী বিশ্বাসের ছেলে রজব আলীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই ঘটনার জের ধরে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি-২০২৫ সকালে রজব আলী, তার ছেলে সবুজ ও বিপ্লবের নেতৃত্বে প্রায় ৫০-৬০ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাংবাদিক ফুয়াদের ৪০ বছর ধরে বসবাস রত বসতবাড়িতে সহিংস তান্ডব চালায়। এ সময় সময় তারা তছনছ করে ফ্রিজ, আলমারি, শোকেস সহ ঘরের সকল দামী আসবাবপত্র। লুট করে নিয়ে যায় নগদ অর্থ ও স্বর্ণমালঙ্কার ও জমির কাগজপত্রসহ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার আরবাবপত্র। এই ঘটনায় ওই সাংবাদিকের পিতা বাদী হয়ে গত ৬ মার্চ কেশবপুর সেনা ক্যাম্পে একটি অভিযোগ করেন।