সত্যপাঠ রিপোর্ট
যশোরের ঝিকরগাছার ইউসুফপুর এলাকার কাভারভ্যান চালক জুয়েল হোসেন ও তার পরিবারের ওপর লাগাতার হামলা চালাচ্ছে প্রতিপক্ষরা। এঘটনায় জুয়েলের স্ত্রী কাকলি খাতুন ঝিকরগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় এক প্রভাবশালী চক্র তাদের পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই চক্রটি জুয়েল ও তার বৃদ্ধা মা আনোয়ারা বেগমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি প্রতিপক্ষ চক্রটি জুয়েলের বসতবাড়ি ভেঙে দিয়েছে। এমনকি শারীরিক নির্যাতন করে জুয়েলের মাথা, হাত, পিঠে একাধিক জখম করেছে এবং তার বৃদ্ধ মায়ের পায়ের আঙ্গুল পিটিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে। এ ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে জুয়েল ও তার পরিবার।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ইউসুফ ও ছকিনা বেগমের নেতৃত্বে মহাসিন মোড়ল, ইউনুচ আলী, কাদের আলী, সাকিব হোসেন, আলাফ মোড়ল ও আশিক হোসেনসহ একদল সন্ত্রাসী নিয়মিত হামলা, ভাঙচুর ও হুমকি দিচ্ছে তাদের। সর্বশেষ রবিবার সকালের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন জুয়েল ও তার মা আনোয়ারা বেগম।
জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ চক্রটি দীর্ঘদিন জুয়েলের পরিবারের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। একই শরীকের সম্পত্তি হওয়াতে জুয়েল ও তার পরিবারকে সম্পত্তির ভাগ থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে তারা। যে কারণে বিভিন্ন সময় জুয়েলের পরিবারের উপর হামলা ও নির্যাতন করে তারা।
হামলায় আহত জুয়েল হোসেন জানান, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে আমাকে বঞ্চিত করতে আমার চাচারা মিলে মারপিট করে। এর আগেও অনেক বার আমার ও পরিবারের উপর হামলা করেছে। আমি আমার নায্য সম্পত্তির ভাগ চাই আর আমার ও পরিবারের নিরাপত্তা চাই।
জুয়েলের স্ত্রী কাকলী খাতুন বলেন, আমার স্বামী, শ্বাশুড়ির উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। আমার স্বামী গাড়ি চালঅই বাড়ি থাকে না। আমাদের বাড়িঘরও ভেঙ্গে চুরে দিয়েছে ওরা। আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি, থাকার জায়গা নেই। প্রাণের ভয়ে আছি। তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ করা হয়েছে। তারপরও ওরা ইচ্ছা খুশি মত মারধর করে যাচ্ছে।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ বাবলুর রহমান খান বলেন, অভিযোগের বিষয়ে অবশ্যই তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ অবস্থায় পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করেছে। তবে এর আগেও থানায় একাধিক অভিযোগ দিলেও এই চক্রের দৌরাত্ম্য কমেনি।