Friday, March 14, 2025
Homeআঞ্চলিকযশোরে কৃষক খুনের ঘটনায় মামলা

যশোরে কৃষক খুনের ঘটনায় মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি

জমিতে ড্রেন কেটে পানি নেওয়ার প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশী সন্ত্রাসীরা কৃষক শহিদুল ইসলাম (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে কোদাল দিয়ে আঘাত ও এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে হত্যা করেছে। পিতাকে রক্ষা করতে এলে ছেলে ও নিহতর ভাই গুরুতর জখম হয়েছে। ঘটনাটি যশোর সদর উপজেলার ইছালী ইউনিয়নের যোগী (মাঠপাড়া) এলাকায়। এ ঘটনায় শনিবার দিবাগত গভীর রাতে নিহতর ছেলে আহাদ হুসাইন বাদি হয়ে প্রতিবেশী ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ এ ঘটনায় ৩ সহোদরকে গ্রেফতার করেছে। এরা হচ্ছে, ওই এলাকার নুর ইসলামের ছেলে ইকলাচ হোসেন, সহোদর বিল্লাল হোসেন রাসেল। আসামী করা হয়েছে ৪ জনকে। গ্রেফতারকৃত ৩ সহোদর ছাড়াও পলাতক রয়েছে ওই এলাকার আলী বক্সের ছেলে আলিম।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, গত শনিবার সকাল অনুমান ১০ টার সময় যোগীপাড়া গামের তেঁতুল বাড়ীয়া মাঠে বাদির পিতা শহিদুল ইসলাম তার নিজ জমিতে শাক-সবজি রোপনের জন্য কাজ করছিল। উক্ত জমির পাশেই ইকলাচ হোসেনের ধানের জমি আছে। ইকলাচ তার জমিতে বাদির পিতার জমির মধ্য দিয়ে ড্রেন কেটে পানি নেওয়ায় শাক-সবজি রোপনের প্রস্তুতকৃত জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।

তাই শহিদুল ইসলাম তার জমির মধ্য দিয়ে যাওয়া পানির ড্রেন বন্ধ করে দেয়। ওই দিন সকাল সাড়ে ১১ টায় ইকলাচ শহিদুলের কাছে এসে পানি বন্ধের কারন জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম শাক-সবজি রোপনে প্রস্তুতকৃত জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানায়। তখন ইকলাচকে অনুরোধ করে বলে যে, পানির পাইপের মাধ্যমে শহিদুলের জমির উপর দিয়ে পানি নিলে বাদির জমিতে সমস্যা হবে না। তখন পাশের জমিতে থাকা ইকলাচের সহোদর বিল্লাল ও রাসেল এবং ডালিম শহিদুলের কাছে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।

তখন গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ইকলাচ ক্ষিপ্ত হয়ে কোদাল দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করলে উক্ত আঘাত পিঠে আঘাত লেগে মাটিতে পড়ে যায়। তখন বিল্লাল ও রাসেল এবং আলিম শহিদুলের বুকে, পিঠে এলোপাতাড়ী কিল, ঘুষি মারতে থাকে। ওই সময় শহিদুল প্রাণে বাঁচার জন্য ডাক চিৎকার দিলে বাদি পাশের জমিতে কাজ করতে থাকা পিতাকে উদ্ধার করে করার জন্য আসলে আক্রমের শিকার হন। চিৎকার চেচামেচি শুনে বাদির চাচা শরিফুল ইসলাম (৫০) এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে জখম করে দ্রুত পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষনা করে। এঘটনায় মামলা হওয়ার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার সাথে জড়িত ৩ সহোদরকে গ্রেফতার করে। রোববার ৯ মার্চ তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আলোচিত