সত্যপাঠ রিপোর্ট
গণপরিষদ নির্বাচন ও নতুন সংবিধান প্রয়োজন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্ট বেনজীন খান বলেছেন, গণপরিষদ নির্বাচন করে সংবিধান সভার মাধ্যমে নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে। এরপর ওই নতুন সংবিধানের অধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বেনজীন খান আরও বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে জনগণের অভিপ্রায় প্রতিফলিত হয়নি। যদি বাহাত্তরের সংবিধান বহাল রাখা হয়, তবে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণের যে অভিপ্রায় প্রকাশ পেয়েছে, তা মূল্যায়িত হবে না। পুরনো সংবিধান অনুসারে, জুলাই বিপ্লবের নায়করা খলনায়কে পরিণত হবেন।
শুক্রবার বিকেলে যশোর শহরের প্রাচ্যসংঘ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার আহ্বায়ক রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ‘জুলাই বিপ্লব: গণপরিষদ নির্বাচন ও সেকেন্ড রিপাবলিক’ শীর্ষক আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে নাগরিক কমিটি যশোরের প্রতিনিধি আশা লতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের মুখ্য সংগঠক আল মামুন লিখন, মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি সামিউল আজিমসহ আরও বক্তারা বক্তব্য দেন।
আলোচনা সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার নেতৃবৃন্দ এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভার পর, নেতৃবৃন্দ একত্রে ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
বেনজীন খান আরও বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিপ্লব হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল। পাকিস্তানের গণপরিষদ নির্বাচনে জয়ীরা বাহাত্তরে সংবিধান রচনা করে, যেখানে সাধারণ মানুষের অভিপ্রায় প্রতিফলিত হয়নি। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণ যে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে, তা স্বীকৃতি দিয়ে নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে। যদি বাহাত্তরের সংবিধান বহাল রাখা হয়, তবে জুলাই বিপ্লবের নায়কদের ভবিষ্যতে সন্ত্রাসী হিসেবে বিচার করা হবে। আমাদের দেশেই এরকম উদাহরণ রয়েছে, যেখানে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যারা জীবনবাজি রেখেছিলেন, তাদের পরবর্তীতে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতে হয়েছে।