Friday, March 14, 2025
Homeআঞ্চলিককোটচাঁদপুরে খননের মুখ দেখেনি চিত্রা নদী পাড়ের বাসিন্দারা

কোটচাঁদপুরে খননের মুখ দেখেনি চিত্রা নদী পাড়ের বাসিন্দারা

আবু সুফিয়ান, কোটচাঁদপুর

কোটচাঁদপুর ও ঝিনাইদহ সদর দুই উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর নাম-ই চিত্রা। প্রাচীন যুগের মানুষের চলাচলের একমাত্র নিরাপদ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ মাধ্যম ছিল নদী পথ। স্বল্প ব্যায়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছাতে নদী পথ সবচেয়ে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হতো। এলাকার প্রবীন মানুষেরা বলেন এই চিত্রা নদীর উপর লঞ্চ স্টিমার নৌকা চলতো।

কালিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়া যেত এই চিত্রা নদী দিয়ে। এলাকার একাধিক প্রবীন মানুষ যাঁরা বেচে আছেন তারা বলেন যদি এখন বলি এই নদীতে লঞ্চ ইস্টিমার নৌকা চলতো তাহলে বর্তমান সময়ের মানুষ বলবে রহস্যময় কথা বলছি কেউ বিশ্বাস করবে না। এই চিত্রা নদী নড়াইলে এখনও নব্যতা থাকায় চিত্রার রুপ চেহারা সেখানে বিদ্যমাণ আছে। নড়াইলে লঞ্চ স্টিমার নৌকা এখনও চলছে। কিন্তু এখানে চিত্রা নদীর কোন আকৃতি বোঝা মুশকিল।

যে যাই বলুক বাংলাদেশের মানচিত্রে চিত্রা নদীর নাম ছিল আছে। এই নদী আজ ভরাট হয়ে গভীর চিত্রার রুপ পরিবর্তন হয়ে সমতল ভূমিতে রুপান্তরিত হয়েছে। নদী নব্যতা না থাকায় সমতল জায়গায় তৈরী করা হচ্ছে বীজতলা সহ বিভিন্ন ফসলের চাষ। এলাকার গ্রামীন সার্ভেয়ারগন বলেন চিত্রা নদীর প্রস্হ কোথাও ১২০ থেকে ১৪০ ফিট পর্যন্ত আছে কিন্তু সরজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ১০ -২০ ফিট পর্যন্ত আছে কিন্তু বাকি জমি ফসলের ক্ষেতে পরিনত হয়েছে।

চিত্রার নিশ্বাস টুকু ও মানচিত্র রক্ষার্থে অংশবিশেষ রাখা হয়েছে। নদীর নব্যতা নস্ট হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে মাঠের পানি নদীতে না যাওয়ায় প্লাবিত হয় মাঠের জমি নস্ট হচ্ছে কৃষকের চড়া সুধে ঋণ নেওয়া অর্থে তিলতিল করে গড়া তোলা মাঠের ফসল। প্রতি বছর এর বলি হচ্ছে গরীব বর্গা চাষী। তৈরী হচ্ছে খাদ্যের ঘাটতি। পিছিয়ে পড়ছে দেশ অভাবে পড়ছে চাষী। বার বার চিত্রা নদী নব্যতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলেও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে কেন আসছে না।

এলাকার হাজার হাজার চাষীর ফসল মাঠে প্লাবিত হয়ে কতটা ক্ষতি হলে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচরে আসবে। নব্যতা সংকটে চিত্রা নদী হারাবে তাঁর নাম। এমনটাই দাবি করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আলোচিত