বিশেষ প্রতিনিধি
যশোর শহরতলীর ঝুমঝুমপুর এলাকার প্রগতি বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী পিউ স্বর্ণকার (১৫) নিখোঁজ হয়েছে। এঘটনায় তার মা নমিতা রানী রায় যশোর কোতোয়ালি থানায় গত ২মার্চ রাতে একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন। যার নং ১৬২।
যশোর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডাইরীতে নমিতা রানী রায় উল্লেখ করেন, নিখোঁজ পিউ স্বর্ণকার শিশু বেলায় তার মা মালা রানীর মৃত্যুর পরও তার বাবা নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নালিয়া গ্রামের মিলন স্বর্ণকারের সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমার বাপের বাড়ি যশোর শহরতলীর ঝুমঝুমপুরে বসবাস করি। নমিতা রাণী বলেন, আমার স্বামী মিলন স্বর্ণকার একজন প্রবাসী। আমার সতিন কন্যা পিউ স্বর্ণকারের দেখভাল করি এবং যশোর শহরতলীর বালিয়াডাঙ্গা প্রগতি বালিকা বিদ্যালয় ভর্তি করে দেই। বর্তমানে পিউ স্বর্ণকার স্কুলের দশম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে।
পিউ স্বর্ণকারের সৎ মা নমিতা রানী রায় যশোর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি উল্লেখ করেন শনিবার, ১মার্চ বেলা ১১ টার পর পিউ, ঝুমঝুমপুর ক্লাবমোড় এলাকার বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়, এরপর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরিচিতদের কাছ থেকে জানতে পারা যায়নি তার কোনো সন্ধান। এমনকি নিকটবর্তী আত্মীয় স্বজনদের কাছে খোঁজ খবর নিয়ে ও কেউ পিউ স্বর্ণকারের খোঁজ দিতে পারেনি।
তাই কোনো উপায় না পেয়ে পিউ স্বর্ণকারের খোঁজ দিতে নমিতা রানী রায় যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। তিনি ডায়রিতে উল্লেখ করেছেন নিখোঁজ পিউ স্বর্ণকারের উচ্চতা ৫ফুট, গায়ের রং ফর্সা, শরীরের গঠন বা স্বাস্থ্য চিকন, মুখের আকৃতি লম্বাটে, সে যশোরে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে।