Wednesday, February 5, 2025
Homeআঞ্চলিককমরেড মহেশ গোলদারের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা

কমরেড মহেশ গোলদারের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা

বাঘারপাড়া প্রতিনিধি

বাঘারপাড়ায় তেভাগা আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য প্রয়াত কমরেড মহেশ গোলদারের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেলে যশোরের বাঘারপাড়া ও নড়াইল সদরের এগারোখান অঞ্চলের হাতিয়াড়া গ্রামে কমরেডের নিজ বাড়িতে এ অনুষ্ঠান হয়। এদিন আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির সভাপতি ও নড়াইল জেলা কমিউনিস্টলীগের সভাপতি কমরেড কংকন পাঠক।

এদিন আলোচনা সভায় প্রয়াত কমরেডের জীবনাদর্শ নিয়ে বক্তব্য রাখেন কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির সাধারন সম্পাদক কমরেড বিপুল বিশ্বাস, সদস্য কমরেড সুমন্ত অধিকারী, বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কমরেড বিথীকা বিশ্বাস, সাবেক ইউপি সদস্য কমরেড ভারতী বিশ্বাস, কমরেড শৈলেন্দ্র নাথ গোস্বামী, কমরেড নির্মল বিশ্বাস, কমরেড আনন্দ রায়।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কমরেড মলয় লস্কর, কমরেড দীনবন্ধু ঘোষ প্রমুখ। এর আগে প্রয়াত কমরেড মহেশ গোলদারের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির সদস্যবৃন্দ ও নড়াইল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ। এতে উপস্থিত ছিলেন, নড়াইল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এ্যাড. কমরেড নজরুল ইসলাম, নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কমরেড স্বপ্না সেন, কমরেড শাহাজাহান, কমরেড শাহাদাৎ হোসেন, জয়দেব গুপ্ত প্রমুখ।

আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আজীবন কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন প্রয়াত কমরেড মহেশ গোলদার। তাঁর বাবা চুনিলাল গোলদার তেভাগা আন্দোলনের সময় নেতাদের মাসের পর মাস নিজ বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন। পুলিশের অত্যাচার থেকে নেতাদের বাঁচতে সহায়তা করেছেন। তাঁরই সুযোগ্য সন্তান মহেশ গোলদার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বাবার আদর্শ অনুসরন করেছেন। তিনি কৃষিতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ধারনা কৃষকদের বোঝাতেন।

কিভাবে বেশী ফসল ফলানো সম্ভব সে ধারনাও কৃষকেদের দিতেন। মৃত্যুর আগে কমরেড মহেশ গোলদার বাংলাদেশের ওর্য়ার্কস পার্টির সদস্য, নড়াইল জেলা ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এবং কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির আজীবন সদস্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। চুনিলাল গোলদারের তিন সন্তানের প্রথম সন্তান মহেশ গোলদাদার ১৯৬১ সালে হাতিয়াড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ২০০৯ সালে বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পরলোকগমন করেন।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আলোচিত