Wednesday, February 5, 2025
Homeআঞ্চলিকদুদকে বক্তব্য পেশ করলো যশোর জেলা পরিষদের ৪ কর্মকর্তা

দুদকে বক্তব্য পেশ করলো যশোর জেলা পরিষদের ৪ কর্মকর্তা

মোকাদ্দেছুর রহমান রকি

যশোর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভার প্রাপ্ত লুৎফর রহমান সরদার ও সাবেক অফিস সহায়ক সরোয়ার উদ্দিনসহ ৪ জন গতকাল ৩ ফেব্রুয়ারী সোমবার যশোর জেলা দূর্নীতি দমন কমিশন সম্বনয় (দুদক) হাজির হয়ে বক্তব্য পেশ করেন। এরা হচ্ছে, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান, সহকারী প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান, সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত লুৎফর রহমান সরদার ও সাবেক অফিস সহায়ক সরোয়ার উদ্দিন।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর জেলা পরিষদের আওতাধীন সড়ক ও মহাসড়কের সরকারি হাজার হাজার গাছ বিক্রি ও বিভিন্ন প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা লোপাট, নিয়োগ বাণিজ্য, জমি ইজারা ও দোকান বরাদ্দের টাকা আত্মসাত পূর্বক নিজের নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অভিযোগ বিষয়ে বক্তব্য শোনা ও গ্রহন করার প্রয়োজনীয়তার জন্য তাদেরকে উপস্থিত হওয়ার ৩ ফেব্রুয়ারী নির্ধারণ করে নোটিশ জারী করা হয়। উক্ত নোটিশ প্রাপ্ত হয়ে সোমবার ৩ ফেব্রয়ারী সকাল থেকে পর্যায়ক্রমে উল্লেখিত ব্যক্তিরা দদুকের কর্মকর্তার সামনে তাদের বক্তব্য পেশ করেন।

জেলা পরিষদ সূত্রগুলো বলেছে, বিগত বছর গুলোতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত লুৎফর রহমান সরদার ও অফিস সহায়ক সরোয়ার উদ্দিনের মাধ্যমে জেলা পরিষদের উন্নয়ন প্রকল্পর নামে লাখ থেকে কোটি কোটি টাকা পকেটস্থসহ জেলা পরিষদের জমি লিজ, বিভিন্ন সড়কে গাছ বিক্রি ও জেলা পরিষদের আওতাধীন ডাক বাংলা ও পরিষদে নিয়োগ বাণিজ্য, জেলা পরিষদের আওতায় বিভিন্ন মার্কেটের দোকান ঘর বরাদ্ধসহ বহুবিধ অভিযোগ উঠে।

সূত্রগুলো আরো বলেছেন, যশোর জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী (প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত) লুৎফর রহমান সরদার, অফিস সহায়ক সরোয়ার উদ্দিনের বিরুদ্ধে তৎকালীন চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুলের সাথে যোগসাজস করে পরিষদের অর্থ লুটপাট, মার্কেটের দোকান বরাদ্দর নামে কোটি কোটি টাকা পকেটস্থ, বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ কমিশনের ভিত্তিতে পকেটস্থসহ বহুবিধ অভিযোগ উঠে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বছরের ২ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় খুলনা (স্থানীয় সরকার শাখা) স্মারক নং ০৫.৪৪.০০০০.০০৪.১৯.০০২.২৪-৮৬০ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, খুলনার সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুমনা আইরিন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে জনস্বার্থে প্রধান সহকারী লুৎফর রহমান সরদারকে নড়াইল জেলা পরিষদে ও অফিস সহায়ক সরোয়ার উদ্দিনকে মেহেরপুর জেলায় বদলী করা হয়।

অফিস সহায়ক সরোয়ার উদ্দিনের বিরুদ্ধে চৌগাছা উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা উন্নয়নের নামে প্রকল্প কমিশনের ভিত্তিতে, জেলা পরিষদের বিভিন্ন সড়কের গাছ উজাড়, পরিষদের অর্থায়নে দারিদ্র জনগনের সাহায্যের মালামাল, কম্বল, শেলাই মেশিন স্কুলের মেয়ে শিক্ষার্থীদের বাই সাইকেলসহ শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ বিভিন্নভাবে চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুলের সহযোগীতায় আত্মসাতসহ বহুবিধ অভিযোগ উঠে। সরোয়ার উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই যশোর জেলা পরিষদে। তৎকালীন প্রধান সহকারী লুৎফর রহমান সরদারের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের সুপার মার্কেটের দোকান ঘর লিজ দেয়ার নামে দোকান গুলি থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার উপরে অর্থ তৎকালীন চেয়ার ম্যান সাইফুজ্জামান পিকুলের সাথে যোগসাজসে আত্মসাত, বিভিন্ন স্থানে জেলা পরিষদের জমি ইজারা প্রদানে উর্পাজিত অর্থ আত্মসাতসহ বহুবিধ অভিযোগ রয়েছে।

দূর্নীতি দমন কশিশন জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের কর্মকর্তা বক্তব্য নেওয়ার পর পরবর্তীতে তাদেরকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করবেন বলে সূত্রগুলো জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্যর যাচাই বাছায়ের পর নতুন করে পদক্ষেপ গ্রহন করা হতে পারে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছেন।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আলোচিত