বিশেষ প্রতিনিধি
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার হাসিব মোহাম্মদ আলী হাসানের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী খন্দকার মাসুদুল হক। গত ২০ এপ্রিল তিনি স্বাস্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক, যশোরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে অভিযোগের অনুলিপি জমা দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় গত ৪ এপ্রিল সকালে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এ সময় জরুরি বিভাগে দায়িত্বে ছিলেন ডাক্তার হাসিব মোহাম্মদ আলী হাসান। বাসা থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেয়া অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালে নেন তারা।
তখন পালস অক্সিমিটারে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০-৮৫% ছিল। জরুরী বিভাগে নেয়ার পর হাসপাতালের মেশিনে অক্সিজেন স্যাচুরেশন পাওয়া যায় ২৭%, রোগীর প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট ও অস্থিরতা বেড়ে যায়। জরুরী বিভাগে ডাক্তারকে না পেয়ে ডাকাডাকি রোগীরা স্বজনেরা ডাকাডাকি করে। কিন্তু ডাক্তার হাসিব মোহাম্মদ আলী হাসান আসেননি। অনেক সময় ডাকাডাকি করার পর ডাক্তার অত্যন্ত বিরক্ত হন। জরুরি বিভাগের ব্রাদার ও ওয়ার্ডবয়কে চিকিৎসা দিতে বলেন।
তাদের উদ্দেশ্যে বলেন তোমরা এখানে আছো তাহলে আমাকে কেন বারবার ডাকাডাকি করছো। তিনি রোগীকে দীর্ঘসময় না দেখেই তার ডেক্সে বসে থাকেন। স্বজনদের অনুরোধে একপর্যায়ে তিনি আবারো রোগীর কাছে আসেন কিন্তু কোন ব্যবস্থাপত্র দেননি। রোগীর স্বজনদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচারণ করেন। রোগীকে না দেখে চলে যান। রোগীর স্বজনদের উদ্দেশ্যে অপ্রয়োজনীয় ও উস্কানিমূলক কথা বলতে থাকেন।
তিনি রোগীকে রেখে আবারও নিজের ডেক্সে বসে থাকেন। সেখানে বসে উস্কানিমূলক ও অসাদাচরণমূলক কথাবার্তা বলতে থাকেন। রোগী সদর হসপিটালের একজন প্রাক্তন নার্সিং সুপারভাইজার ছিলেন। বারবার অনুরোধ করার পরও ডাক্তার হাসিব মোহাম্মদ আলী হাসান রোগীর চিকিৎসা দেননি। রোগীর স্বজনদের সাথে বাকবিতন্ডা করেন।
ডাক্তার ইচ্ছাকৃত ভাবে সময় অতিবাহিত করে দেন। রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়। রোগীর স্বজনরা রোগীর অবস্থা আরও অবনতি ও সংকটপূর্ণ হওয়ায় আইসিইউতে নেন। আইসিইউতে তার মৃত্যুবরণ হয়। এরআগেও ডাক্তার হাসিব মোহাম্মদ আলী হাসান এ ধরণের কর্মকান্ড করেছেন। ডাক্তারের বিরুদ্ধে তিনি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেন।