কেশবপুর প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুরে হাসানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেনের বাবা কৃষক আবুল কাসেম সরদার ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই লাখ ২২ হাজার টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের আবুল কাসেম সরদারের ছেলে বিল্লাল হোসেনকে হাসানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে দুই লাখ ২২ হাজার টাকা নেয়।
দুই/তিন মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার কথা ছিল। ওই সময় অতিবাহিত হলে চাকরি দিতে না পারায় প্রধান শিক্ষকের নিকট টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করে ঘুরাইতে থাকে। পরে বাধ্য হয়ে ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ দেওয়া হয়।
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বহুবার নোটিশ করলেও প্রধান শিক্ষক হাজির না হওয়ায় ২০২৪ সালের ৮ জুলাই চেয়ারম্যান আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে একটি হুকুম নামা প্রদান করেন। এরপরও আবুল কাসেম প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেনের বাবা কৃষক আবুল কাসেম সরদার বলেন, ‘ছেলের চাকরির জন্য প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানকে ওই টাকা দিতে গিয়ে গরু-ছাগল, হাস-মুরগি বিক্রি এবং আত্মীয়দের কাছ থেকে ধারদেনা করতে হয়েছে। বর্তমানে আমি নিঃস্ব। আত্মীয়দের টাকা ফেরত দিতে না পারায় তাদের সঙ্গে স¤পর্ক ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে’।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওই ব্যক্তির কাছ থেকে সুদে ব্লাংক স্ট্যাম্পে কিছু টাকা নেওয়া হয়েছিল। টাকা কিছু দিয়েছি, আর কিছু পাবেনে। চাকরি দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে কোন টাকা নেওয়া হয়নি’।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ আব্দুর রব বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে। বিষয়টি আমিও দেখছি। ঘটনা সত্য হলে অফিসিয়ালি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।