সত্যপাঠ ডেস্ক
যশোরের কোতয়ালী মডেল থানার বসুন্দিয়া মধ্যপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একজন গুরুতর জখম হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন শতকত আলী খান নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগস্কূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ই এপ্রিল বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে বসুন্দিয়া মধ্যপাড়ায় ভুক্তভোগীদের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। শতকত আলীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্তদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
এরই জের ধরে শান্ত (২৭), অন্তু (২৫), আলমগীর হোসেন ওরফে রমজান খান (৫৬), ইকবাল খান (৪৫), রাশিদা খানম (৫২), সোহানা বিলকিস (৩৯) এবং তাদের অজ্ঞাতনামা ৪ তেকে ৫ জন সহযোগী লোহার রড, হকিষ্টিক, ধারালো দা, রামদা সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে।
বাদীর অভিযোগ অনুযায়ী, রাশিদা খানমের হুকুমে ও নেতৃত্বে হামলাকারীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ভাই মোশারেফ খানকে (৫৯) হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দা দিয়ে মাথায় আঘাত করে। মোশারেফ খান মাটিতে পড়ে গেলে অভিযুক্ত অন্তু ইট দিয়ে তার হাত, পা, বুক ও পিঠে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এছাড়াও আলমগীর হোসেন তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে এবং মারধর করে আহত করে।
এই ঘটনা দেখে মোশারেফ খানের চাচাতো ভাই ইমরান হোসেন খান (৫০), হাসান ইমাম বিল্লাল (৪০), ভাবী রাজিয়া সুলতানা এবং ভাইয়ের স্ত্রী শারমীন আক্তার এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদেরও মারধর করে আহত করে।
বাদী আরও অভিযোগ করেন যে, তার ভাবী রাজিয়া সুলতানার শাড়ি কাপড় টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটানো হয় এবং তার গলার ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত মোশারেফ খানকে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।