সত্যপাঠ ডেস্ক
বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে যশোরে চলছে জোর প্রস্তুতি। শহরজুড়ে সাজসজ্জায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ৩০টিরও বেশি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা। দাওয়াতপত্র বিতরণ, র্যালির সরঞ্জাম প্রস্তুতকরণ এবং নাচ-গানের মহড়ায় মুখরিত হয়ে উঠেছে যশোর।
যশোরে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ইতিহাস দীর্ঘ। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর মাধ্যমে যে পথচলা শুরু, তা এখন সর্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। পরে চারুপীঠসহ আরও অনেক সংগঠন এতে যুক্ত হয়। ঢাকার পর দেশের সবচেয়ে বড় নববর্ষ শোভাযাত্রা হয়ে থাকে যশোরেই।
উদীচী যশোরের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান বিপ্লব জানিয়েছেন, পহেলা বৈশাখের দিন ভোর ৬টা ৩১ মিনিটে পৌর পার্কে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিকেল ৪টায় সান্ধ্য আয়োজন করা হবে। এটি তাদের ৪৯তম বর্ষবরণ উৎসব।
চারুপীঠ যশোরের সেক্রেটারি মামুনুর রশিদ জানান, এবারের ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’য় তুলে ধরা হবে পাহাড়, পাখি, কুমিরের প্রতিকৃতি এবং ৭০-এর দশকের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি।
জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু বলেন, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সবাই। এবার আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি সাড়া পড়বে বলে তিনি আশাবাদী।
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, উৎসবকে ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো রাত ৮টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।