Wednesday, February 5, 2025
Homeজাতীয়সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের অনশন

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের অনশন

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণার দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। তবে কর্মসূচির সমর্থনে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।

সকালে কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, মূল ফটকের সামনে ৬ জন শিক্ষার্থী অনশনে বসেছেন, তাদের ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, ক্যাম্পাসের ভেতরে চলছে সরস্বতী পূজা, যেখানে দর্শনার্থীদের অবাধ প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। তবে ঘোষণা অনুযায়ী অবরোধ বা মিছিল-স্লোগানের চিত্র চোখে পড়েনি।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘তিতুমীর ঐক্য’র উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান মুক্তা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রাষ্ট্র শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে। তিনি বলেন, “গতকাল বিশ্ব এজতেমার কারণে আমরা কর্মসূচি শিথিল করেছিলাম, কিন্তু আগামীকাল থেকে আর কোনো শিথিলতা থাকবে না। সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মহাখালী, রেল গেট, আমতলী ও গুলশান লিংক রোড অবরোধ থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীবান্ধব রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু আজও আমরা বৈষম্যের শিকার। আমাদের আন্দোলনে অনেকেই বিরক্ত হতে পারেন, তবে আমরা তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা এই রাষ্ট্রেরই সন্তান।”

১. সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
২. শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাহার করে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।
৩. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আইন উপদেষ্টার চাপ সৃষ্টি করার ঘটনার তদন্ত করতে হবে এবং তিনি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীরা কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তারা মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস বর্জন, সড়ক ও রেলপথ অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিশেষ কমিটি গঠন করলেও এখনো এ বিষয়ে কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তাই শিক্ষার্থীরা গত ২৯ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশনসহ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আলোচিত