সত্যপাঠ ডেস্ক
চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ির বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের অভিযানের ভিডিও ধারণের সময় হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এনটিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো সিনিয়র রিপোর্টার আরিছ আহমেদ ও এনটিভির চিত্র সাংবাদিক সুমন গোস্বামী। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আরিছ আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, ‘অভিযানের ভিডিও চিত্র ধারণ করছিলেন চিত্র সাংবাদিক সুমন গোস্বামী। এ সময় পুলিশের ওসি জাহেদুল কবির ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং ভিডিও চিত্র মুছে দেয়। বিষয়টির প্রতিবাদ জানালে, দুই মিনিটের মধ্যে স্থান ত্যাগ না করলে আটকের হুমকি দেওয়া হয়।’
চিত্র সাংবাদিক সুমন গোস্বামী আজকের পত্রিকাকে অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশের অভিযানের চিত্র ধারণের সময় ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভিডিও চিত্র মুছে দেওয়া হয়। অশোভন আচরণ করে দুই মিনিটের মধ্যে স্থান ত্যাগ করতে বলা হয়।’
বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় নগর বিএনপির কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে পাশের একটি মসজিদে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নগর বিএনপি দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। ওই সময় পুলিশ অভিযান চালালে সেটির ভিডিও চিত্র ধারণ করছিলেন সাংবাদিকেরা। অভিযানে ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) অতনু চক্রবর্তী বলেন, ‘অভিযানের সময় সাংবাদিকদের জাস্ট সরে যেতে বলা হয়েছিল। কারণ, তখন আমরা অভিযান পরিচালনা করছিলাম। তাঁদের বলেছিলাম, অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।’
ওই সাংবাদিক পুলিশের অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ‘সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন অভিযানের সময় পুলিশের কাজে ডিস্টার্ব করেছিলেন তাঁরা। তারপরও বিষয়টি আমরা দেখছি। যে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর বক্তব্য শুনব।’
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতা, সিইউজের সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটো, এনটিভির ব্যুরোপ্রধান শামসুল হক হায়দারি, সিইউজের যুগ্ম সম্পাদক সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।