মঈন উদ্দিন ময়না, ফুলতলা
ফুলতলা এম এম কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৈয়দ আলিফ রোহানের হত্যাকারী ২ ছাত্রলীগ নেতা এখনো আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এদিকে সিআইডি রোহানের ব্যবহৃত মোবাইলটি উদ্ধার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম জানান, আহতবস্থায় রোহানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার পরিচ্ছন্ন কর্মী শাহিন সুকৌশলে রোহানের ব্যবহৃত মোবাইলটি নিজের কাছে রেখে দেয়। পরে সিআইডি পুলিশ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় শাহিনের নিকট থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করে।
অপরদিকে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের মামলার উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি নেই বললেই চলে। এখনো পর্যন্ত ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ফুলতলা এম এম কলেজের ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসিবুল ইসলাম শান্ত গাজী ও ফুলতলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আবু হাসনাত।
হত্যাকান্ডের বাকি ৩ আসামী দীপ্ত সাহা নিজ এলাকা থেকে তাসিন মোড়ল ও সাব্বির ফারাজীকে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।
গ্রেফতারকৃত ৩ আসামীর মধ্যে দীপ্ত সাহা ও তাসিন মোড়ল বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় তাদের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে। বাকি আসামীদের বাঁচাতে বিভিন্ন মহলে তদবির শুরু করেছেন কতিপয় প্রভাবশালী নেতা বলে জানা যায়।
ফুলতলা বাজারের বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে ঝুলছে রোহান হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে হত্যাকারীদের ফাঁসি চেয়ে রঙ্গিন পোস্টার।
উল্লেখ্য, ফুলতলা উপজেলার পায়গ্রাম কসবা এলাকার রহমানিয়া এলিমেন্টারি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মেয়েদের ছবি তোলা, ইভটিজিং ও উত্যক্ত করার সময় বাঁধা প্রদান করে ভিকটিম সৈয়দ আলিফ রোহান।
পরবর্তীতে, ৩১ মার্চ ঐ কিশোর গ্যাংয়ের ৫ মাদকাসক্ত সদস্য পরিকল্পিতভাবে ফুলতলা এম এম কলেজ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ছুরিকাঘাতে নৃশংসভাবে খুন করে সৈয়দ আলিফ রোহানকে। পরে, গত ০১ এপ্রিল নিহতের পিতা সৈয়দ আবু তাহের বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ফুলতলা থানায় একটি হত্যা মামলা (নং- ০১) দায়ের করেন।