বাঘারপাড়া রং তুলির আঁচড় দিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

0
146


এস.এম মুসতাইন, বসুন্দিয়া

“ধর্ম যার যার উৎসব সবার” আবহমান বাংলার ঐতিহ্য বছর ঘুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহত আনন্দ খুশির শারদীয় দুর্গা পুঁজা আর কয়েক দিন পর। মন্দির গুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততা মেতে উঠছেন কার থেকে কে সৌন্দর্যের রুপের প্রতিযোগিতায় মৃতশিল্পীরা। দেবীর কাঠামো মাটির কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে, শুরু করেছে নিপুঁণ হাতে রং তুলির আঁচড় দিতে।

সনাতন পল্লীতে চলছে সাজ সাজ রব, বাঘারপাড়া উপজেলায় ৯ টি ইউনিয়নে ৯০ টি পৌরসভায় ৩ টি এবং বসুন্দিয়া ইউনিয়নে ৮ টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পুঁজার আয়োজন চলছে। ১০ অক্টোবর রবিবার মঙ্গলঘট স্থাপনের পর, ১১ অক্টোবর সোমবার মহাষষ্ঠীতে দেবীর পূজা অর্চনা মধ্যে দিয়ে ১৫ অক্টোবর শুক্রবার বিজয় দশমীতে দেবীর পুঁজা ইতি-টেনে বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গোৎসব।

এবছর ঘটকে চড়ে মহালোকে আগমন করবেন, আবার দোলায় চড়ে স্বর্গ শিখরে কৈলাসে স্বামী গৃহে ফিরে যাবেন। পিছনে রেখে যাবেন ভক্তদের শ্রদ্ধা ভালবাসা আনন্দমাখা জল। রেখে যাবেন আগামী বছরে ফিরে আসার অঙ্গীকার।

এ অঞ্চলের কয়েকটি পুঁজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় সম্পন্ন বাকি শুধু রংয়ের আচঁড় দিতে। বাঘারপাড়া উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের জহুরপুরে-৮ টি, বন্ধবিলায়-৬ টি, রায়পুরে-১০ টি, নারকেলবাড়িয়ায়-১৬ টি, ধলগায়-১৪ টি, দোহাকুলায়-৬ টি, বাসুয়াড়ীতে-১১ টি ও জামদিয়ায়-৮, এছাড়া পৌরসভায়-৩ টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গা উৎসবে রুপ দিয়েছেন।

যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নে ৮ টি মন্ডপে এবছর দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর এ উপজেলায়-৮৮ টি মন্ডপে দুর্গা পুঁজা হয়েছিল এবছর বেড়েছে পুঁজার সংখ্যা। কথা হয় বাকড়ীর মৃৎশিল্পী বাবু প্রনব কুমার মুখার্জির সাথে তিনি বলেন, এবছর পাঁচটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। আরো জানান, প্রায় মন্ডপে প্রতিমার মাটির কাজ শেষ হয়েছে এখন শুধু রং তুলির কাজ ও সাজসজ্জা বাকি।

কথা হয় মৃৎশিল্পী বাবু পরমাংসু ভট্টাচার্য এর সাথে, তিনি বাঘারপাড়া উপজেলা ছাড়া নড়াইলে মিলে পাঁচটি প্রতিমা গড়ছেন। শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ের উপরে উপজেলা পুঁজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু সন্তোষ অধিকারীর পক্ষ থেকে বাঘারপাড়া থানা ইনচার্জ বরাবর একটি স্বারক লীপি প্রদান করেছেন।

বাঘারপাড়া থানা ইনচার্জ ফিরোজ উদ্দীন অধিকাংশ পুঁজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন। এবং নির্বিঘ্নে দুর্গোৎসব পালন করার আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সাথে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পুঁজাকে কেন্দ্র করে উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশদের আইন শৃঙ্খলা সার্বক্ষন নজর রেখে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখার উপর অবহিত করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here