বিশেষ প্রতিনিধি
মাছ ধরতে বাধা নিষেধ করায় একই পরিবারের ৪ সদস্যকে মারপিট এবং বাড়িতে হামলা চালিয়ে ক্ষতি সাধন ও লুটপাট করার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় হামলাকারী একই পরিবারের ৬জনকে আসামী করা হয়েছে।
আসামিরা হচ্ছে, গোপালপুর গ্রামের আব্দুর রব (৬১) ও তার দুই ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৪০), মুরাদ হোসেন (৪৫), আব্দুর রবের স্ত্রী রুমী খাতুন (৩৫), সিরাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহমান (১৯) এবং মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে উজ্জল হোসেন (৩৭)। ঘটনাটি গত ৩০ জুলাই শুক্রবার সকালে যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গোপালপুর গ্রামে। মামলাটি করেন ওই গ্রামের মৃত মোকছেদ আলী দফাদারের ছেলে আব্দুল হান্নান।
মামলায় উল্লেখ করেন, বাদীর সাথে আসামিদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। যে কারণে আসামিরা বাদী ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে ক্ষতির চেষ্টা করে আসছিল। গত শুক্রবার ৩০ জুলাই সকাল ৯টায় প্রতিবেশী সন্ত্রাসী আব্দুর রব জোরপূর্বক হান্নানের জমিতে মাছ ধরতে যান। সে সময় হান্নানের ছেলে আশিকুর রহমান রবকে মাছ ধরতে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুর রব তাকে গালিগালাজ করে। আব্দুর রব তাকে ধর বলে তাড়িয়ে দেয়। পরে পিছু পিছু আসামিরা তাদের বাড়িতে যায় এবং গালিগালাজ করতে থাকে। আব্দুল হান্নান গালিগালাজ করতে বাধা নিষেধ করলে তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করে।
এ সময় পিতাকে বাঁচাতে ছেলে আশিক (১৯) ও স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম (৪৮) মেয়ে সুমী ঠেকাতে গেলে লাঠি দিয়ে আব্দুর রব ও তার সহযোগীরা মারপিট করে। এসময় হান্নানের স্ত্রীও মেয়ের পড়নের কাপড় টেনে শ্লীলতাহানী ঘটায়।
আসামিরা ঘরের গেইট এ আঘাত করে ক্ষতি সাধণ করে। ঘরের মধ্যে ঢুকে ৩ লাখ টাকার গহনা ও ড্রয়ারে রাখা নগদ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় হান্নানের পরিবারের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ফের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে হান্নান ও তার পরিবারের সদস্যরা গুরুতর আহত অবস্থঅয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।