সত্যপাঠ ডেস্ক
ঢাকায় যে সমস্ত শ্রমিকরা রয়েছেন তাদের দিয়েই চালু করা হবে গার্মেন্টস কারখানা। কোরবানির ঈদে যারা বাড়ি গেছেন, তারা লকডাউনের কারণে রাজধানীতে আসতে পারছেন না, এই সময়ে তারা কাজেও যোগ দিতে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক।
মালিকপক্ষ পর্যায়ক্রমে রাজধানীর বাইরে অবস্থান করা শ্রমিকদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনবেন- এইসব শর্তে ১ আগস্ট থেকে কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাস্তবে চিত্র ভিন্ন। পরিস্থিতি উল্টো। যদি বিষযটি এত সহজই হয়, তাহলে প্রশ্ন- কারখানা খোলার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর অভিমুখী জনস্রোতে এরা কারা?
জানা গেছে, ঢাকায় অবস্থান করা শ্রমিকদের দিয়ে কারখানা চালানো যে সম্ভব নয়, তা সরকার বুঝুক আর না বুঝুক, মালিকরা তা ভালভাবেই বোঝেন। তাই তো সরকারের ওপরমহলকে নানা যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে যে কোনও শর্তে কারখানা খোলার সিদ্ধান্তটি পাওয়াই ছিল তাদের কাছে মুখ্য। কারখানা মালিকরা সে সিদ্ধান্তটি পেয়েছেন। কিন্তু সরকারকে দেওয়া কোনও শর্তই বাস্তবায়ন করছেন না তারা। পরিস্কার করে অধস্তনদের বলা হয়েছে- যার যার অধীনস্ত শ্রমিকদেরকে নির্দিষ্ট দিনে কাজে হাজির করতে না পারলে চাকরি থাকবে না। সেভাবেই মেসেজ পৌছে গেছে রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর থেকে শত শত কিলোমিটার দুরে অবস্থান করা গার্মেন্টস শ্রমিকদের কানে। তাই তো পেটের প্রয়োজনে জীবনকে ঝুঁকিতে রেখে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে কর্মস্থলের দিকে ছুটেছেন গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা। যে কোনও মূল্যে রবিবার ১ আগস্ট সকাল ৮টার আগেই কারখানার গেটে পৌঁছাতে চান তারা। ঢাকা অভিমুখী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।