আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে ভাতার টাকা পাইয়ে দেওয়ার নামে চাঁদাবাজী ও অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে ইউপি সদস্য হাফেজ রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, বুধহাটা ইউনিয়নের উত্তর চাপড়া গ্রামের মৃত নুরুল আমিনের পুত্র ৩নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ নাজমুল হুদা গ্রামের অসহায় মানুষের কাছ থেকে বিধবা, প্রতিবন্ধী এবং বয়স্ক ভাতা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ৩/৪ শত টাকা হতে এক হাজার টাকা করে আদায় করে এসেছেন। প্রায় অর্ধশত মানুষের কাছ থেকে তিনি টাকা আদায় করেছেন।
এছাড়া ভাতাধারীদের মোবাইল নং বদলিয়ে নিজের মোবাইল নং বসিয়ে দিয়ে টাকা উত্তোলন, ভিজিডি কার্ড ও কর্মসুচির টাকা বেনামী করে নিজে গ্রহণ করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করতে গেলে গ্রামের সহজ সরল মানুষদের মিথ্যা মামলায় ফাসানোর হুমকি দিয়ে থাকেন তিনি। বাদি ইউপি সদস্য হাফেজ রবিউল ইসলাম বলেন, গ্রাম পুলিশ নাজমুল শুধু ঘুষ না, সে চাপড়ার মৃত সামসুল হুদার পুত্র সামছুল হকের নাম ৪০ দিনের কর্মসুচিতে দিয়ে ৮০০০ টাকা ও ৩০ কেজির ভিজিএফের চাউলের কার্ডের নাম দিয়ে নিজে উত্তোলন করে নিয়েছেন।
চাপড়া গ্রামের বিধবা প্রতিবন্ধী লতিফুন নেছার ভাই কবির জানান, তার বোনের বিধবা ভাতার টাকা গ্রাম পুলিশ নাজমুল তার স্ত্রীর মোবাইল নাম্বার বসিয়ে উঠিয়ে নিয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।