বিশেষ প্রতিনিধি
সদর উপজেলার ৬ নং কাশিমপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া দক্ষিণপাড়ার মোফাজ্জেল হোসেন নামে এক ব্যক্তি তার দাদা থেকে পাওয়া ৩ শতক জমির দখল ছাড়তে বলায় প্রতিপক্ষরা প্রাণ নাশের হুমকীসহ তাদের নিজ বাড়িতে বোমা মেরে ও মোটর সাইকেল লুকিয়ে রেখে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আশংকা প্রকাশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ঘটনা পুলিশ সুপারের নির্দেশে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছেন।
সদর উপজেলার ডাকাতিয়া ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল খালেক মোল্যার ছেলে সংবাদ কর্মী মোফাজ্জেল হোসেন বাদি হয়ে সম্প্রতি যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গত ১৮ জুলাই একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার দাদা জীবিত থাকাকালে দাদার নামীয় ১০০ নং ডাকাতিয়া মৌজায় সাবেক খতিয়ান নং ২৫৬, ২৬৯.সাবেক দাগ-৭৩৫, ৮২০, ৮২২, ৮২৩, ৮৪৭, ৮৪৮, ৮৭৩, ৮৯৭, ৮৯৮, ৯১৭, ৯৮৮, ৯৩৫, ৯৩৬, ৯৩৭, ৭৩৫/১০৩৮, ৪৭৪ মোট জমি ৪ একর ৭৪ শতক। উক্ত জমি হতে দাদার প্রাপ্ত ১৫৭ শতক জমির মধ্যে সাড়ে ৫৯ শতক জমি বাংলা ১৩৭৯ সাল ১৩ই মাঘ, ইংরাজী ২৭/০১/১৯৭৩ সালে যশোর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে মোফাজ্জেল হোসেনের নামে তার দাদা একটি দানপত্র দলিল করে দেন। যার দলিল নং ১৬৫৩।
এরপর মোফাজ্জেল হোসেনের দাদা মারা যাওয়ার পর দাদার বকেয়া জমি হতে ৯৮ শতক জমি হতে ৮ আনা অর্ধেক সম্পত্তি মোফাজ্জেল হোসেন ও তার মা বোন স্বামী এবং দাদা সুত্রে মালিক হন। যার ফলে মোফাজ্জেল হোসেনের সম্পত্তির পরিমান ১০৮ শতক। উক্ত জমি হতে ডাকাতিয়া দক্ষিণ পাড়ার আব্দুর রহমান মোফাজ্জেল হোসেনের শরীকদের কাছ থেকে সাবেক দাগ নং ৯১৭, ৯১৮ হাল দাগ নং ১৪৩৩, ১৪৩৪ এর মোট ২৯ শতক জমি হতে মাত্র ৬শতক জমি ক্রয় করেন। কিন্ত উল্লেখিত দাগের জমিতে মোফাজ্জেল হোসেন তার দাদার দলিল মূলে ১৪.৫ শতক জমির মালিক। প্রতিবেশী আব্দুর রহমান উল্লেখিত জমি হতে মোফাজ্জেল হোসেনের ওয়ারেশগনের কাছ থেকে ৬শতক জমি ক্রয় করলেও অথচ শরীকগনের প্রাপ্ত জমি হচ্ছে ৩শতক।
মোফাজ্জেল হোসেন অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, আব্দুর রহমান যে জমি ক্রয় করেছে সেই জমির দলিলে দাগ নম্বর ভুল করে ১৪৩৪ এর স্থলে ১৪৪৩ হয়েছে। যার ফলে আব্দুর রহমান দলিলে দাগ নম্বর ভুল সংশোধনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে ভ্রম সংশোধন মামলা করেন। অথচ সেই দলিলের দাগ নম্বর ভুল থাকলেও সঠিক দাগ নম্বর তুলে জালিয়াতি নামপত্তন করে। যা মোফাজ্জেল হোসেন দেখে হতবাক হয়ে পড়েন। মোফাজ্জেল হোসেন তার অংশের প্রাপ্ত জমি আব্দুর রহমান ও তার ছেলে চঞ্চল, উজ্জল হোসেন এবং আব্দুর রহমানের স্ত্রী রাশিদা বেগমকে ছাড়ার কথা বললে তারা জমি না ছেড়ে বরং প্রকৃত জমির মালিক মোফাজ্জেল হোসেনকে বিভিন্নভাবে হুমকী ও ধামকী দিয়ে যাচ্ছে।
মোফাজ্জেল হোসেন অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, গত ১৫ জুলাই সকাল ১০ টায় আব্দুর রহমানের ছেলে চঞ্চল ডাকাতিয়া গ্রামের শহর আলী নায়েব সরদারের কাঠাল বাগানে মোফাজ্জেল হোসেনকে পেয়ে হুমকী দিয়ে বলে প্রয়োজনে নিজের বাড়িতে বোমা ফাটিয়ে এবং নিজেদের মোটর সাইকেল লুকিয়ে রেখে মোফাজ্জেল হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাবে তবুও জমির দখল দিবেনা ও জমি ছাড়বেনা বলে হুমকী দেয়। এরপর থেকে মোফাজ্জেল হোসেন চরম নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে পড়েন। তিনি এ অবস্থা থেকে বাঁচতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে কোতয়ালি পুলিশ ২৮ জুলাই তদন্ত শুরু করেছেন।