বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের উপশহরের ডি ব্লক ৫ নম্বর ভৈরব ফাটের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মশিউল আলম এবার তার স্ত্রী ও তার কথিত বন্ধুর বিরুদ্ধে চুরির মামলা করেছেন। আসামী করেছেন, তার স্ত্রী ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার যাদুরে গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে রুপালী আলম ও তার কথিত বন্ধু মনিরুজ্জামান মনির।
মশিউল আলম কোতয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় বলেছেন, রুপালীর সাথে র্দীঘ ১৭ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তার ১৪ বছরের একটি মেয়ে আছে। তিনি উপশহরের ফøাটে বসবাস করেন।
মশিউল আলমের মা যশোর শহরের বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড়ে বোনের বাড়িতে থাকেন। তার ও বোন নিরাপত্তা জনিত কারণে ১০ ভরি সোনার গহনা তার বাড়িতে রেখে দেন। তিনি ব্যবসার কারণে প্রায় সময় যশোরের বাইরে থাকেন। এই সুযোগে তার স্ত্রী রুপালী প্রায় সময় অপর আসামি তার বন্ধু মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতো। কিছু দিন আগে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। তাকে কথা বলতে নিষেধ করায় ৩/৪ মাস আগে তাদের মধ্যে মনমালিন্য হয়।
গত ২০ জুলাই তিনি ব্যবসার কাজে বাইরে যান। বেলা ২টায় সংসারের বাজারের জন্য তিনি তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল করেন। কিন্তু ফোন রিসিভ না হওয়ায় তিনি বাড়িতে আসে। ঘরে তালামারা দেখতে পান। পরে অপর একটি চাবি দিয়ে তিনি ঘরে ঢুকে দেখেন তার স্ত্রী ও মেয়ের কাপড় চোপড় নেই। ঘরে রাখা ৩ ভরি সোনার গহনা এবং তার মা ও বোনের রাখা ১০ ভরি সোনার গহনা নেই। নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ৪২ লাখ টাকা মূল্যের পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং এফডিআর এর কাগজপত্র নেই।
তিনি ফাটের দারোয়ানের কাছ থেকে জানতে পারেন সকাল ১০টায় মনিরুজ্জামানের সাথে তার স্ত্রী ও মেয়ে একটি ইজিবাইকে করে বাইরে চলে গেছে। তিনি অনেক স্থানে খোঁজ নিয়ে তাদের সন্ধান করতে না পেরে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।