মধুখালী প্রতিনিধি
সোনালী আঁশ খ্যাত পাটের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুর জেলা। ফরিদপুরে গত কয়েক বছর পাট চাষে লাভের মুখ দেখলেও এবার দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পাটচাষীরা।
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার পাটচাষী বদিয়ার রহমান বলেন, আমি যে পরিমান জমিতে পাট চাষ করেছি। এবার চাষের প্রথম দিকে বৃস্টি না হওয়ায় বিপাকে পড়েন। জমিতে সেচ দিয়ে পাটবীজ রোপন করেন। তখন থেকে খরচ এতোটা বেড়েছে যে, এখন এই টাকা ওঠানোই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে বলে আশাংকা দেখা দিয়েছে। এবার আবার হানা দিয়েছে পাট গাছের মরা রোগ।
তাছাড়া মধুখালী উপজেলার বেশীর ভাগ এলাকায় পর্যাপ্ত পানির অভাবে পাট জাগ নিয়ে বিপাকে পডেছেন চাষীরা। খাল, বিল ও ডোবায় এ বছর পর্যাপ্ত পরিমান বৃস্টির পানি না জমায় অল্প পানিতেই জাগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। ফলে পাটের গুনমান নস্ট হওয়ায় পাটের দাম কম পাওয়ার আশাংকা করছেন তারা।
পাট চাষী বদিয়ার, সুখদেব অধিকারী সহ আরো অনেকে জানান আমাদের এলাকা উচু হওয়ায় এবং জলাশয়গুলোতে পর্যাপ্ত পানি না জমায় ঠিকমত পাট জাগ দিয়ে পচানো যাচ্ছেনা। আবার পানি আশায় পাট মাঠে রেখে দিলে পাট মরে যাচ্ছে।
এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলভির রহমান বলেন, পাট চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ৮হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে কিন্তু জরীপে এবার আবাদ হয়েছে ৮হাজার ৫৫২ হেক্টর জমি। তাই এবার পরিমানের চেয়ে বেশী পাট আবাদ করায় এবং একটি অংশে পানি না পাওয়ায় এ সমস্যা হচ্ছে। আশা করি বৃস্টি হলে পানির সমস্যা থাকবে না। এবার চাষীরা পাটের উপযুক্ত দাম পাবে।