কামরুল ইসলাম, অভয়নগর
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় এক মাদ্রাসা সভাপতির বিরুদ্ধে ওই মদ্রাসার এক শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে গতকাল বুধবার রাতে অভয়নগর থানায় মামলা করেন। পুলিশ অভিযুক্ত সভাপতিকে আটক করেছে।
আটককৃত ওই সভাপতির নাম আব্দুর সবুর শেখ (৬০)। তিনি অভয়নগর উপজেলার কোটা পুরুষ ও মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি। গত মঙ্গলবার সকালে শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই শিক্ষিকা মাদ্রাসার আবাসিক হলে তার রুমে ঘুমিয়ে ছিলো। এ সময় আব্দুস সবুর শেখ তার কক্ষে ঢুকে তার স্বামীকে ডাকতে থাকে। তার স্বামী বাসায় নেই জেনে তিনি শিক্ষিকাকে জাপটে ধরেন। এ সময় ওই শিক্ষিকা চেচামেচি করলে আব্দুর সবুর শেখ দৌড়ে পালিয়ে যান। এরপর ওই শিক্ষিকা বিচার চেয়ে মাদ্রাসা কর্ত্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে মাদ্রাসায় একটি সালিশী বৈঠক হয়। বৈঠক চলাকালে শতাধিক এলাকাবাসী হঠাৎ মাদ্রাসায় প্রবেশ করে সভাপতির শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর পুলিশ আব্দুর সবুরের বাড়ি থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ওইদিন রাত এগারটার দিকে ওই শিক্ষিকা অভয়নগর থানায় আব্দুর সবুরের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করে।
ওই মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক নুরজালাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মাদ্রাসার এক শিক্ষিকাকে সভাপতি আব্দুর সবুর শেখ শ্লীলতাহানির প্রচেষ্টা চালায়। ওই শিক্ষিকা কর্ত্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলে বুধবার সন্ধায় আমরা বৈঠকে বসি। এসময় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে ও শবুর শেখকে আটক করে।’
আব্দুস সবুর শেখ বলেন, ‘পুরোঘটনা মিথ্যা ও সাজানো।’
অভয়নগর থানার গাজীপুর ক্যাম্প ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (উপপরিদর্শক) সু কল্যাণ বিশ্বাস বলেন, ‘এক মাদ্রাসার শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বুধবার রাতে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মাদ্রাসা সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে।’