শ্যামল দত্ত, চৌগাছা
যশোরের চৌগাছায় সপ্তম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষন চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। একই গ্রামের আলতাফের ছেলে মাঝ বয়সী মশিয়ার (৫০) ছাত্রীটিকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। ঘটনার পরপরই ওই ছাত্রীটি বিষ খেয়ে আত্মহত্যারও চেষ্টা করে। গত শুক্রবার উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। ৩ দিন চিকিৎসা শেষে রবিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে ফিরেছে ছাত্রীটি।
রবিবার সরেজমিনে গেলে ছাত্রীটির মা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তিনি এবং তার বাড়ির সদস্য অন্যান্যরা চালের গুড়ো কুটতে (বানাতে) পাশেই এক বাড়িতে যান। তখন বাড়িতে ছাত্রীটি খেলা করছিল। তার অসুস্থ বাবা ঘরে শুয়ে ছিলেন। কিছুন পরে ছাত্রীটি বাড়ি থেকে একটু দূরে শৌচাগারে যায়। এমন সময় একই গ্রামের মশিয়ার তার শৌচাগারে জোর করে প্রবেশ করে। ঘটনাটি ছাত্রীটির চাচাতো দাদি দেখে ফেলে। তিনি গর্ভবতী হওয়ায় ছাত্রীটির আপন সেজ দাদীকে ঘটনাটি দেখতে বলেন। উল্লেখ্য, ছাত্রীটির পরিবারের সকলেই প্রায় এক উঠানেই বাড়ি করে থাকে।
কথা হয় ছাত্রীটির সেই সেজ দাদির সাথে। তিনি বলেন, কথাটি শুনেই আমি ওই শৌচাগারে গিয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করি। সেসময় তিনি শৌচাগার থেকে ছাত্রীটির বোবা আওয়াজ শুনতে পাই। আমার দরজা ধাক্কাধাক্কিতে মশিয়ার শৌচাগারের দরজা খুলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
ছাত্রীটির বাবা জানান, আমি জ¦রে অসুস্থ তাই ঘরে শুয়ে ছিলাম। আমার মেয়ে যখন শৌচাগারে যাচ্ছে তখন যেন আমি মশিয়ারের গলা শুনতে পেলাম। তারপরে হই-চই তে বাধ্য হয়ে ঘরের বাইরে বের হয়ে এসে ঘটনা শুনেছি।
বিষ খেয়ে আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানে থাকা চৌগাছা থানার এসআই বাচ্চু শেখ বলেন, ধর্ষন প্রচেষ্টার ঘটনা সত্য। কিন্তু সেই মশিয়ারের কোনো সন্ধান এখনও পায়নি এবং ভুক্তভোগী পরিবার থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ থানায় জমা দেয়া হয়নি। তবে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭.৪২) ছাত্রীটির দাদা ও বাবা জানিয়েছেন, তারা মামলা করতে থানার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।