চৌগাছা-আড়পাড়া সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী : ভোগান্তি চরমে

0
188

শ্যামল দত্ত, চৌগাছা

যশোরের চৌগাছা-আড়পাড়া সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ভোগান্তীর শিকার হচ্ছে জনসাধারণ। ভোগান্তী চরমে পৌঁছালেও যেন দেখার কেউ নেই। সড়কটির পিচ, পাথর ও ইটের খুয়া উঠে গিয়ে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও জনসাধারণ।

বছরের পর বছর সংস্কার না করার ফলে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দেখলে মনে হচ্ছে তার শরীরে গুটিবসন্ত হয়েছে। পৌরসদরের ইছাপুর পৌর পাখা থেকে মাড়–য়া বাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক এ জনপদের মানুষের কাছে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার ও মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় শুধুমাত্র চৌগাছা-আড়পাড়া এই সড়কটিই ব্যবহার করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড়-বড় সব শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন এলাবাসী। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা শহরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ রক্ষা করা জন্য এ সড়ক ব্যবহার করে ব্যাংক বীমা, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে আসা যাওয়া করে থাকেন। বিশেষ করে রোস্তমপুর, সাদিপুর, ঝিনাইকুন্ডু ও মাড়–য়া গ্রামের ভিতরে বিভিন্ন স্থানে সড়কটি ব্যাপক ভেঙ্গে গেছে।

সড়কটির ব্যাপারে মাড়–য়া গ্রামের বাসীন্দা রমজান আলী, ফরাদ হোসেন, বজলুর রহমান বলেন, এ সড়কে প্রতিনিয়ত শত-শত যানবাহন ও হাজার-হাজার সাধারণ মানুষ চলাচল করে থাকেন। সড়কটিতে খানা-খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় ও ধষে পড়ায় চলাচলে দারুণ ভাবে সমস্যা হচ্ছে। এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন যান্ত্রিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অনেক সময় দূর্ঘটনায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় বিভিন্ন যানবাহন। তারা বলেন, এ উপজেলাটি ব্যবসা বাণিজ্য, কৃষি পণ্য উৎপাদন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাই পার্শ্ববর্তী সবকটি উপজেলার তুলনায় অনেক এগিয়ে। ফলে রাস্তা-ঘাট ও উন্নত হয়েছে। তার পরেও আমাদের (চৌগাছ-আড়পাড়া) এ সড়কটি ব্যাপক অবহেলিত। দীর্ঘ ১০/১২ বছর এ সড়কটিতে কোন সংস্কার কাজ করা হয়নি। তাই সড়কটির পিচ, পাথর ও ইটের খুয়া উঠে গিয়ে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

কথা হয় ভ্যান চালক মাড়–য়া গ্রামের আবু বক্করের সাথে তিনি বলেন, সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ সড়কে ভ্যান আনলে প্রতিনিয়ত যান্ত্রীক ক্ষতি হয়ে থাকে। তা ছাড়া জরুরি কোন রোগী, প্রসুতি মা ও শিশু এবং মুমূর্ষু রোগীকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা হাসপাতাল ও জেলা সদরে নিতে ব্যাপত ভোগান্তি পোহাতে হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, খাদ্য শস্যভান্ডার নামে খ্যাত উপজেলার এ এলাকা থেকে দেশের প্রায় ১৫ শতাংশ কাঁচা তরিতরকারি, ধান ও ফলফলাদি উৎপাদন হয়ে থাকে। সড়কের বেহালদশা হওয়ায় যা কৃষি উৎপাদিত পণ্য বাজার জাত করতে এ এলাকার মানুষের দারুণ ভোগান্তি শিকার হতে হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মুনছুর আলী বলেন, সড়কটি এলজিডি বিভাগের আওতাভূক্ত। খুব তাড়াতড়ি সড়কটি সংস্কার কাজ করা হবে। আপনি লিখেদেন যে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here