প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক মিজানুর রহমান তোতার মৃত্যু : শোক জ্ঞাপন

0
150

সত্যপাঠ রিপোর্ট

প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সভাপতি, জাতীয় দৈনিক ইনকিলাব দণিাঞ্চলীয় প্রতিনিধি মিজানুর রহমান তোতা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি …. রাজিউন)। শনিবার (১৭ জুলাই) সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুবরণ করেন। তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত ছিলেন। তাছাড়া তার মস্তিষ্কে রক্তরণও হয়েছিল।

শনিবার (১৭ জুলাই) বাদ জোহর যশোর শহরের নতুন খয়েরতলা জামে মসজিদে তার নামাজে জানাজা সম্পন্ন হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

মিজানুর রহমান তোতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও সম্পাদক আহসান কবীর। এছাড়া কাবের সাবেক এই সভাপতি ও সম্পাদকের মৃত্যুতে প্রেসক্লাব ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। খোলা হয়েছে শোকবই।

এছাড়াও শোক প্রকাশ করেন দৈনিক সত্যপাঠ পত্রিকার প্রকাশক মাছুমা আক্তার, সম্পাদক প্রফেসর আমিরুল আলম খান, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন আলম সহ পত্রিকা পরিবারের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান তোতার জন্ম ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ-সংলগ্ন এলাকায়। সেখানে তিনি বেড়ে ওঠেন। ঝিনাইদহ কে সি কলেজে পড়াকালে তিনি জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় দৈনিক স্ফুলিঙ্গের মাধ্যমে গণমাধ্যমে হাতেখড়ি হয়। পরে তিনি দৈনিক আজাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন। দৈনিক ইনকিলাব বাজারে আসার পর তিনি এই পত্রিকায় থিতু হন। জেলা প্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিশেষ প্রতিনিধিও হয়েছিলেন।

অবিভক্ত যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা ছাড়াও তিনি প্রেসক্লাব যশোরের একাধিকবারের সভাপতি ও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার কয়েকটি বই রয়েছে বাজারে। কয়েক বছর আগে মস্তিষ্কে রক্তরণে তার শরীরের একাংশ অকেজোপ্রায় হয়ে যায়। এর পর তিনি আর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। সাংবাদিকতায় ছুটাছুটিও থেমে যায় অনেকটাই। এই সময়কালে তিনি কবিতা লেখালেখিতে মনোযোগী হন।

গেল মাসের শেষ সপ্তাহে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। করোনার উপসর্গ থাকায় তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টারে পাঠানো হয়। কিন্তু ফলাফল নেগেটিভ আসে। এর কয়েকদিনের মাথায় দ্বিতীয় বারের মতো তার মস্তিষ্কে রক্তরণ হয়। সেই দিন তাকে বেসরকারি কুইন্স হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানকার ডাক্তাররা তাকে কোভিড-১৯ রোগী বলে শনাক্ত করেন। পরীায় দেখা যায় তার ফুসফুসের প্রায় ৬৫ শতাংশ আক্রান্ত। সাথে সাথেই তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা রেড জোনে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হয়। শেষ দিকে তার করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছিল। একপর্যায়ে ঘণ্টায় দুই-তিন লিটার অক্সিজেন চলছিল তার শরীরে। কিন্তু করোনা রেড জোন থেকে বের করে স্ট্রোকের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here