কামরুল ইসলাম, অভয়নগর
কেরামত আলী (৫০) যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা জিয়লতায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ দিন ধওে চা বিক্রি কওে আসছেন। ছয় জন সদস্যর সংসার চলে তার চায়ের দোকানের আয় দিয়ে। কঠোর লকডাউনে তার দোকান কবন্ধ হয়ে যায়। সংসার চলবে কী করে. ভেবে সে দিশেহারা হয়ে পড়ে। এর মধ্যে তার মাথায় বুদ্ধি আসে সাইকেলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি ফাক্সেও তৈরি চা বিক্রি করবেন।
যে ভাবনা সেই কাজ সকাল হলেই তিনি গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাজির হয় চা নিয়ে। শুধু চা নয় সাথে থাকে দোকানে বিক্রি করার মতো বিষ্কুট, কলা ও অন্যান্য খাবার। তিনি সাইকেলের হ্যান্ডেলে ঝুলিয়ে অনায়াসে সে গুলো বিক্রি করেন।
বুধবার(১৪/৭/২১) তার সাথে দেখা হয় সোনাতলার মিতালী খেলার মাঠের পাশে। দেখা যায় তিনি দ্রতি গতিতে ফাক্সেও গনরম পানি কাপে ঠেলে তাতে চিনি মিশিয়ে বিক্রি করছেন।
এ সময়ে কথা হয় কেরামত আলীর সাথে, তিনি জানান, দোকানে তার তিন থেকে চারশ টাকার কেনা বেচা হতো। কিন্তু এখন ফেরি করে এক হাজার টাকার বেশি তার কেনা বেচা হয়। এখন তার পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে।