আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যাদের ঘিরে তুমুল উন্মাদনা ছড়ায়, কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৪তম আসরে তেমন তারকার বড্ড অভাব। করোনা মহামারির কারণেই হয়তো এমন চিত্র। হাতেগোনা যে ক’জন হেভিওয়েট তারকা এবার কানসৈকতে এসেছেন, শন পেন ও ম্যাট ডেমন তাদের অন্যতম। মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে থাকা ‘ফ্যাগ ডে’ ছবিতে আরেকটু হলেই একসঙ্গে কাজ করা হতো হলিউডের এই দুই তারকার।
২০১৪ সালে প্রকাশিত সাংবাদিক জেনিফার ভগেলের স্মৃতিগ্রন্থ “ফিম-ফ্যাম ম্যান: দ্য ট্রু স্টোরি অব মাই ফাদার’স কাউন্টারফেট লাইফ” অবলম্বনে ছবিটির চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে।
অস্কারজয়ী শন পেন গত ১১ জুলাই পালে দে ফেস্টিভাল ভবনের তৃতীয় তলায় সংবাদ সম্মেলনে এসে জানান, চিত্রনাট্য পড়ার সময়ই জেনিফার চরিত্রে ডিলান পেনের মুখ ভেসে উঠেছিলো তার সামনে। কিন্তু জেনিফারের বাবার চরিত্রে নিজেকে ভাবেননি তিনি। শুধু পরিচালকের আসনেই বসবেন ভেবেছিলেন।
ছবিটিতে প্রথমবার শন পেন ও তার মেয়ে ডিলান পেন একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। কিন্তু সুযোগটা প্রায় হাতছাড়া করে ফেলছিলেন শন পেন। তিনি বলেন, ‘জন ভগেল চরিত্রে অভিনয় করবো না বলে সবশেষ চেষ্টা থেকে দৃশ্যধারণ শুরুর প্রায় দেড় মাস আগে চিত্রনাট্যটি ম্যাট ডেমনকে পাঠিয়েছিলাম। সে আমাকে ফোন করলো। ছবিটি করবে বা করতে পারবে না জানাতে নয়, বরং সে বললোÍ তুমি এই চরিত্রে কাজ করতে না চাওয়া একটা বোকা লোক!’
ছবিটিতে সত্যিকারের হুইলার ব্যবসায়ী জন ভগেল চরিত্রে অভিনয় করেছেন শন পেন। ব্যাংক ডাকাত ও সাধারণ মানুষ হিসেবে দ্বৈত জীবনযাপন করেন তিনি। এতে আরও অভিনয় করেছেন ক্যাথেরিন উইনিক, জশ ব্রোলিন, মাইলস টেলার, এডি মারসান।
ডিলানের ভাই হপার জ্যাক পেন অভিনয় করেছেন জেনিফারের ভাইয়ের চরিত্রে। অর্থাৎ বাস্তবের বাবা এবং ভাইবোন পর্দাতেও একই ভূমিকায় হাজির হয়েছেন প্রথমবার। শুধু তাদের মা রবিন রাইট নেই ছবিটিতে। তার সঙ্গে শন পেনের বিয়েবিচ্ছেদ হয় ২০১০ সালে।
পালে দে ফেস্টিভালের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে গত ১০ জুলাই শন পেন পরিচালিত ‘ফ্যাগ ডে’র উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। পরদিন সকালে একই প্রেক্ষাগৃহে এবং রাতে সাল দ্যু সোসানতিয়েমে আবার ছবিটি দেখানো হয়েছে।