বাঘারপাড়া প্রতিনিধি
বাঘারপাড়ার সাব রেজিস্ট্রারের অনৈতিক কর্মকান্ড ঢাকতে মাঠে নেমেছে মাসুদ-বদর চক্র। অফিসে অফিসে কর্মরত অধিকাংশ নকল নবিশসহ অন্যান্যদের চাকুরি হারানোর ভয় দেখিয়ে জোর করে মন গড়া কথা লিখে স্বাক্ষর নিয়েছে চক্রটি। স্বাক্ষরিত কপি ইতোমধ্যে যশোর জেলা রেজিস্ট্রার ও বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি পাঠিয়েছে। চক্রটি সাব রেজিস্ট্রারের সাথে সমন্বয় করে অফিস থেকে শুরু করে অফিসে কর্মরতদের বাড়ি বাড়ি চষে বেড়াচ্ছেন। অন্যদিকে সাব রেজিস্ট্রার নিজেই তার অপকর্ম ঢাকতে সংগঠনের নেতাদের চাপ দিয়ে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মাসুদুর রহমান নকল নবিশ সভাপতি ও বদর উদ্দীন সাব রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী। এই দু’জন মিলেই সক্রিয় চক্রটি সাব রেজিস্ট্রারের পক্ষে সাফাই গেয়ে চলেছেন। এমনকি সাব রেজিস্ট্রারকে ধোয়া তুলশির পাতা প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
সুত্র মতে, সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ২০ জন নকল নবিশ কর্মরত। এরমধ্যে ১১ জনই নারী। যৌন হয়রানির অভিযোগে বাঘারপাড়া সাব রেজিস্ট্রার রিপন মুন্সির বিরুদ্ধে গত ৩০ জুন থানায় অভিযোগ দিয়েছেন তারই অফিসের ভুক্তভোগী নারী নকল নবিশ। এছাড়া সুবিচার পেতে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এবিষয় নিয়ে একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশও হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের পরই সাব রেজিস্ট্রার নিজেকে বাঁচাতে বিভিন্ন কৌশল নিয়ে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
নারী নকল নবিশ ছবুরোন নেসা জানিয়েছেন, সাব রেজিস্ট্রারের অনৈতিক কর্মকান্ড ঢাকতে আমাকেসহ আরো কয়েকজনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোর করে স্বাক্ষর নিয়েছে সভাপতি মাসুদ ভাই। নিরুপায় হয়ে আমিসহ অনেকেই স্বাক্ষর করেছে।
তাসলিমা খাতুনসহ আরো একাধিক নকল নবিশ জানিয়েছেন, স্বাক্ষর না করলে চাকরি থাকবে না, অন্যত্র বদলি করে দেবেন সাব রেজিস্ট্রার, এমন কথা বলে সভাপতি মাসুদ ভাই হুমকি দিয়েছে।
নকল নবিশ সভাপতি মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, কাউকে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। সাব রেজিস্ট্রারের অফিস সহকারী বদর উদ্দীন প্রতিবাদ কপি লিখে আমাদের সবাইকে স্বাক্ষর করতে বলেছেন তাই স্বাক্ষর নিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী বদর উদ্দীন জানিয়েছেন, প্রতিবাদ কপি আমি লিখেনি। এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
যশোর জেলা রেজিস্ট্রার শাহজাহান সর্দার জানিয়েছেন, বাঘারপাড়া সাব রেজিস্ট্রারের বিষয়ে নকল নবিশের সভাপতিসহ অনেকের স্বাক্ষরিত কপি অফিসে আসছে। এবিষয়ে তদন্ত করা হবে।