সহিদুল ইসলাম, মধুখালী
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের মছলন্দপুর মালোপাড়া পাড়া বিদুৎতের আলো অনেকের ভাগ্যে জোটেনি। এদের একমাত্র ভরসা কেরোসিনের বাতি।
এই সংবাদ শুনে সরেজমিনে গিয়ে গ্রাম ঘুরে ঐ গ্রামের বাসিন্দা রিনা বেগম, মিনু বিশ্বাস, সন্ধ্যা রানী, বিলাসী বিশ্বাস, শিখা দাস, দিপালী বিশ্বাস ও আরো অনেকের সাথে কথা বলে জানা ও দেখা যায় এদের বর্তমান প্রধান সমস্যা দুটি। একটি হলো রাস্তা আর একটি হলো বিদুৎ। রাস্তা আছে কিন্তু মেরামত নাই।
বৃস্টির দিনে বৃস্টির পানি জমে গ্রামের রাস্তা ডুবে গ্রাম পানিতে পরিপূর্ন হয়ে যায় তখন পানি শুকানো ছাড়া পানি বের হওয়ার কোন বিকল্প ব্যবস্থা নাই। পানিতে রাস্তা যখন কাদা হয়ে যায় তখন মানুষের চলাচলে দুঃখের সীমা থাকে না। এর মধ্যে আরও সমস্যা হলো বিদুৎতের আলোর ছোয়া প্রায় ৭-৮ ঘরে মোটেই নাই। আর যাদের আছে সংখ্যায় কম। তবে পিলারের অভাবে অনেক দুর থেকে লাইন না নিয়ে বড়লোকেরা সাইট লাইন নিয়ে চালাচ্ছে।
এই গ্রামে লাইনের সংযোগ দিতে হলে প্রায় ১০টি পিলারের প্রয়োজন। আর যাদের সামর্থ নাই এবং সাইট লাইন পাচ্ছে না তারা বিদুৎতের আলোর অভাবে কেরোসিনের বাতি জ¦ালিয়ে পারিবারিক প্রয়োজনীয় কাজ মেটাচ্ছে। বিদুৎতের অভাবে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া এবং সংসারের আরো প্রয়োজনীয় কাজ চরম ব্যঘাত হচ্ছে।
এ ব্যপারে মধুখালী বিদুৎ অফিসের ইঞ্জিনিয়ার আলী আজম বলেন এই গ্রামের মানুষ আবেদন করেছে করোনা ভাইরাসের কারনে কাজটি দেরী হচ্ছে আশা করা যায় অচিরেই লাইনের কাজ শুরু হয়ে যাবে এবং সকলেই বিদুৎ সংযোগ পাবে। আর রাস্তার ব্যপারে কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বিশ^াস (বাবু) ও ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন অচিরেই রাস্তা ও বিদুৎতের ব্যবস্থা অতি তাড়াতাড়ি সরকারীভাবে ব্যবস্থা করা হবে। তাই এলাকার গরীব, বড়লোকের সবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী যেহেতু সরকার মুজিব বর্ষে বিদুৎতের উপর গুরুত্ব দিয়েছে সেই হিসেবে তাদের গ্রামে অতি তাড়া তাড়ি বিদুৎ সংযোগ ও রাস্তা মেরামত করে দিলে এই গ্রামের সকলের সুন্দর জীবন যাপন ও পথ চলার সুগম হয়।