দেশের হয়ে মেসির প্রথম শিরোপা
স্পোর্টস ডেস্ক |
ব্রাজিলকে হারিয়ে ২৮ বছর পর কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা। এর মধ্য দিয়ে দেশের হয়ে প্রথম শিরোপা জিতলেন লিওনেল মেসি। রিও ডি জেনিরোর বিখ্যাত মারাকানায় সেলেসাওদের ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন এখন আর্জেন্টিনা। ১৯৯৩ সালের পর প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতে আর্জেন্টিনা।
সেই সঙ্গে আক্ষেপ ঘুচলো লিওনেল মেসিরও। ক্যারিয়ারের একমাত্র আক্ষেপ ছিল দেশের হয়ে একটি ট্রফি, সেটাও হয়ে গেলো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে। মারাকানায় ব্রাজিল সবশেষ ম্যাচ হেরেছিল ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে। সেই ম্যাচটি এখনও মারাকানা ট্র্যাজেডি নামে পরিচিত।
ডি মারিয়ার করা একমাত্র গোলে কোপা আমেরিকার ফাইনালে লিড নেয় লিওনেল মেসির দল। ম্যাচের শুরু থেকে ব্রাজিল পায়ে বল রেখে গোল দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। রদ্রিগো ডি পলের দেয়া লং বল থেকে ডি মারিয়া নিখুঁতভাবে ব্রাজিলের গোলকিপার এডারসনের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত তারা ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে জয় নিশ্চিত করে।
এর আগে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে টানা দুটি কোপা আমেরিকায় ফাইনালে গিয়েও হেরে যায় আর্জেন্টিনা। ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউট থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়ে অবসরের ঘোষণাও দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি।
যদিও দ্রুতই ফিরে এসেছেন এবং পরবর্তীতে আর্জেন্টিনার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কোপা আমেরিকা দিয়ে প্রথম কোন আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের স্বাদ পেলেন সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি।
ঘরের মাঠে নেইমারের স্বপ্নভঙ্গ
খেলা শেষে কাঁদছেন নেইমার। ছবি- টুইটার
লিওনেল মেসি যখন ট্রফি হাতে নেওয়ার অপেক্ষায় উল্লাসে ব্যস্ত। তখন কাঁদছেন নেইমার। তার চোখের কোনায় জল। একটা শিরোপার খুঁজে তো ছিলেন তিনিও। মরিয়া ছিলেন কোপা আমেরিকার ট্রফিটা জিততে।
রোববার অনুষ্ঠিত ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ব্রাজিল। এর মাধ্যমে ২৮ বছর পর শিরোপা পুনরুদ্ধার করল আর্জেন্টিনা। আর মেসির জাতীয় দলের হয়ে এটিই ছিল প্রথম শিরোপা।
অন্যদিকে নেইমারও আশায় ছিলেন এই শিরোপা জয়ের। তিনি যদিও ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে চান বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু আসলে চাইছিলেন আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা জয় করতে। কিন্তু তা হয়নি। একদিকে যখন স্বপ্নপূণের উল্লাস। আরেকদিকে তখন হতাশায় ঘিরে থাকা মুহূর্ত। তাতেই কাঁদতে দেখা যায় তাকে।
এই কান্না নিশ্চয়ই একদিন রূপ নেবে হাসিতে। ট্রফিটা উঠবে নেইমারের হাতে। এমন প্রত্যাশা সমর্থকদের।