মুক্ত খান, রূপদিয়া
যশোর সদর উপজেলা কচুয়া ইউনিয়ন রায়মানিকে গুচ্ছ গ্রামের মানুষেরা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশি ভাগ বয়স্ক ও মহিলারা এখানে বসবাস করছে। ঘরে সাথে হাটু সমান কাদা, চলাচলে অনুপযোগী। বেশিরভাগ মানুষ ঘর ছেড়ে চলে গেছে। প্রায় প্রতিটা ঘরেই বৃষ্টি পানি পড়ে। অনেক ঘরের জালানাও নেই। ঘরগুলোর নির্মাণ বয়স ৪/৫ মাস সেটাও বুঝার উপায় নেই। ইতিমধ্যে ঘরে ফাটল ধরেছে। বলা যায়- এক প্রকার নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন ওই গুচ্ছ গ্রামের মানুষেরা।
একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, এই পর্যন্ত চেয়ারম্যান আমাদের কোন খোঁজ খবর নেইনি। এমন চলতে থাকলে আমাদের এখানে থাকা হবে না। সরকার যেন আমাদের খাদ্য সামগ্রী প্রদান করে। তা না হলে আমরা ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে মারা যাব। একই অভিযোগ করেন আজিবন, রফিকুল, মিজানুরসহ একাধিক ভুক্তভোগীরা।
এছাড়া ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বিরুদ্ধে ঘর বিক্রি অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ঘর বিক্রির অভিযোগ মিথ্যা, একজন চলে গেছে তাই আর এক জনকে ঘর দেওয়া হয়েছে, কোন টাকার বিনিময়ে দেয়া হয়নি।
বক্তব্য নেওয়ার জন্য কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ধাককের ব্যবহৃত ০১৭২০-৫৮৩৬০৭ নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।