আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনি প্রেসক্লাব সদস্য সুব্রত দাশের সহযোগিতায় বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার বুকুবুনিয়া ইউনিয়নের বড়তালেশ্বর গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী বাসন্ত দাশ (৪২) তার পিতা-মাতার কোলে ফিরে গেছে। জানাগেছে, বড়তালেশ্বর গ্রামের বসন্ত দাশের মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে বসন্ত প্রায় ১১মাস আগে বাড়ী থেকে নিখোঁজ হয়েছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও কোন সন্ধান না পেয়ে ছেলের আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন তার পিতা-মাতা।
কথায় বলে রাখে সষ্ট্র মারে কে? গত ৮ জুলাই আশাশুনির কুল্যা ইউনিয়নের কচুয়ার কালিপদ ঘোষের মুদি দোকানে পানি পান করতে আসে মানসিক প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তি। আশাশুনি প্রেসকাবের সদস্য সুব্রত দাশ তার সাথে কথা বলেন। অনেকক্ষণ কথা বলে তার ঠিকানা কিছুটা আচ করতে পারেন সাংবাদিক সুব্রত। এরপর বুকুবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের মোবাইল নং সংগ্রহ করে কথা বলেন তিনি। প্রতিবন্ধীর শারীরিক অবস্থা ও অঙ্গভঙ্গি সম্পর্কে কথা বলে নিশ্চিত হন তার ঠিকানা। পরে সাংবাদিক সুব্রত দাশ বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ আশাশুনিকে অবহিত করেন।
ওসি গোলাম কবির সাথে সাথে ফোর্স পাঠিয়ে প্রতিবন্ধী সুধাংশকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন। ঐ রাতেই তার স্বজনরা থানায় এসে ভাইকে ফিরে পেয়ে আবেগে কেঁদে ফেলেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, সুধাংশের একটি মেয়ে নিউমোনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, একটি ছেলে পানিতে ডুবে মারা যায়। পরে স্ত্রী তাকে রেখে বাবার বাড়ী চলে গেলে তিনি মানসিক ভারসাম্য্য হারিয়ে ফেলেন। ১১ মাস আগে সবার অজান্তে তিনি বাড়ী থেকে উধাও হয়ে যান।
সাংবাদিক সুব্রত বলেন, আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করি। রাস্তাঘাটে কোন ভিক্ষুক কিংবা মানসিক প্রতিবন্ধীকে দেখলে আমার কষ্ট লাগে। তখন স্বজন হারানোর ব্যাথা অনুভব করে তাদের থেকে কিছু কথা শোনার চেষ্টা করি। যদি কিছু কথা জানতে পারি তখন সেই এলাকার প্রশাসন অথবা জনপ্রতিনিধিদের মোবাইল নাম্বার যোগাড় করে তাদের বাড়ীর ঠিকানা বের করি।
এভাবে আমি গত ১৪ জুন গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ননীগোপালপুর গ্রামের বাবুল মন্ডলের মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে পবিত্র মন্ডল (১৭), ২০১৭ সালে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার একটা বৃদ্ধাকে (৭৫), ২০১৯ সালে সাতক্ষীরার ভোমরার এক মহিলাকে (৪০) এবং ২০১১ সালে গাইবান্দা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার এক মহিলা (৪৫) কে তাদের পরিবারের কাছে ফেরৎ পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। তিনি এমন মহৎ কাজে সকলের সহযোগিতা প্রার্থনা করেন।