বেনাপোল প্রতিনিধি
করোনা ভাইরাস রোধে সারাদেশের ন্যায় শার্শা উপজেলায়ও চলছে কঠোর লকডাউন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ, বিজিবি আনছার ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। কোথাও কোথাও আছে ভ্রাম্যমান আদালত। কিন্তু তার পরেও অনেকেই বাড়ির বাইরে এসে এসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাহারা দিয়ে খেলছে চোর পুলিশ খেলা। উপজেলার হাটবাজার গুলোতেও যেয়ে দেখা গেছে মানুষের অবাধ বিচরণ।
শার্শার নাভারন, বেনাপোল, বাগআঁচড়া, বাহাদুরপুর, বাজার গুলো ঘুরে দেখা গেছে মানুষের অবাধ চলাফেরা। কোন স্বাস্থ্য বিধির বালাই নেই। সকাল বেলায় এসব বাজারে গ্রামের লোক এসে জড়ো হয়। মাছ বাজার, তরকারী বাজার ও মুদি দোকানে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি। ঠেলাঠেলি করে এসব লোকজন বাজার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সামনে। একই ভ্যানে, অটোরিক্সায় একাধিক মানুষ চলাচল করছে। বেনাপোল চেকপোষ্ট থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দুর নাভারন বাজার। এর মধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে অন্তত ৬ টি স্পটে আছে পুলিশ সহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তারপরও মানুষ যার যার খেয়াল খুশি মত চলছে।
অপরদিকে যেখানে শ্রমিকদের বাজার বসে বিভিন্ন কাজ করার জন্য। সেখান থেকে তাদের তাড়িয়ে দিচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ এর তাড়া খেয়ে কাজ না পেয়ে অনেকে হতাশা প্রকাশ করছে। পরিবারের সদস্যরা চেয়ে আছে উপার্জনক্ষম ওই সব সদস্যদের দিকে। কিন্তু তারা কাজ না পেয়ে ভেঙ্গে পড়ছে। এছড়া তারা সরকারের তরফ থেকে কোন অনুদান না পেয়ে অর্ধাহারে অনাহারে করছে জীবন যাপন।
বেনাপোল বাজারে কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রি লুৎফর হোসেন বলেন, সকালে যেখানে শ্রমিক কেনা বেচা হয় সেখানে কাজের যন্ত্র পাতি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে পুলিশ আমাদের তাড়িয়ে দেয়। আমরা কোন উপায় খুজে পাচ্ছি না। দিন মজুর আবু রায়হান বলেন, বাজারে এসে কাজ না পেয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি বাড়ি যেয়ে ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীকে কি খাওয়াব। নাভারন বাজারের শ্রমিক আবু তালেব বলেন, সরকার আমাদের ত্রানের ও ব্যবস্থা করছে না আবার কাজ ও করতে দিচ্ছে না। এখন আমরা করব কি? এর চেয়ে আমাদের মেরে ফেলাক।
আবার বেনাপোল বাজারে সারাদিন দেখা যায় মানুষের আনা গুনা। এসব মানুষ পুলিশকে পাহারা দিয়ে বাজারে উঠে। যেখানে যে স্পটে পুলিশ থাকে না সেই পথ দিয়ে বাজারে এসে ঘুরাঘুরি করে। এ যেন পুলিশের সাথে চোর পুলিশ খেলা চলছে।