মিজানুর রহমান, মণিরামপুর
মণিরামপুর উপজেলার খর্দ্দ গাংড়া গ্রামে “বাংলার বন্ধু” একটি ষাঁড়ের দাম হাকছেন ৬ লাখ টাকা। মণিরামপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েকটি বড় গরুর খবর পাওয়া গলেও তার মধ্যে খর্দ্দ গাংড়া গ্রামের বাবলু সরদারের এ গরুটি অন্যতম। অপর দিকে করোনার প্রভাবে পশুহাট বন্ধ থাকায় খামারিরা চরম হতাশায় ভুগছেন।
বাবলু সরদার বলেন, নিজ সন্তানের মতো আদর-যতেœ বড় করে তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এই “বাংলার বন্ধু” ষাঁড়টিকে। দিন-রাত অকান্ত পরিশ্রম করে এটিকে পালন করা হয়েছে। ষাঁড়টিকে খাওয়ানো এবং গরমে গোসল করানোর ক্ষেত্রে কখনই কারপন্ন করিনি আমি। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন “বাংলার বন্ধু” ষাঁড়টির জন্য তিন কেজি ভূষি, দুই কেজি ুদের ভাত, প্রায় এক মণ সবুজ ঘাস এবং বারো মুঠ বিছালি (খড়) খেতে দেওয়া হয়। প্রতিদিন সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৫’শ টাকা খরচ হয় গরুটির পিছনে।
এছাড়া সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, বাড়ির নিজের গাভী থেকে জন্ম নেয়া ষাঁড়ের উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৫ ফুট এবং লম্বায় সাড়ে ৭ ফুট। এটির ওজন প্রায় ২৬ মণ। জানতে চাইলে বাবলু চরম উৎকণ্ঠার সাথে বলেন, আর মাত্র দু’সপ্তাহ কোরবানি ঈদের বাকি আছে। আমরা গরুর খামারিরা বর্তমান প্রেক্ষাপটে চরম হতাশায় কাটাচ্ছি। দেশে করোনা পরিস্থির কারনে পশু হাট বন্ধ থাকায় উচ্চাকাঙ্খার আশা ছেড়ে দিয়ে কেবল পুঁজি বাঁচিয়ে ষাড়টি বিক্রি করতে পারলেই পারি এমনটি শুনান। বাবলুর দাবী অনুযায়ী “বাংলার বন্ধু” এ ষাঁড়টিকে তিনি ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে তার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।