পশু হাট নিয়ে বিপাকে ইজারাদাররা

0
145

মিজানুর রহমান, মণিরামপুর

করোনার প্রভাবে চরম ক্ষতির আশংকায় রয়েছেন যশোরের মণিরামপুরের পশুরহাট ইজারাদাররা। কঠোর লকডাউনে হাট বাজার বন্ধ থাকায় হতাশার মধ্যে দিন কাটছে হাট ইজারাদারদের। গতবছর চরম ক্ষতির শিকার হন এসব মালিকরা। কিন্তু সেটিকে পুষিয়ে নিতে এবারও হাট কিনে চরম ক্ষতির আশংকায় রয়েছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, মণিরামপুর উপজেলায় পশুরহাট প্রধানত মণিরামপুর ও রাজগঞ্জ বাজার দুটিতে। এবার এ বাজার দুটির একটির মালিক ইজারা মালিক হাকোবা গ্রামের ফারুক আহাম্মেদ লিটন এবং অন্যটি ইজারা মালিক উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা ইমরান খান পান্না।

সূত্র জানায়, এ বছর মণিরামপুর পশুরহাট ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকায়। বড় অংকের এ টাকার একটি অংশ উঠে আসে কোরবানির হাট গুলো থেকে। এ বছর সেটাও ফিকে হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মণিরামপুর পশুরহাটে ইজারা মালিক ফারুক আহাম্মেদ লিটন জানায়, এ বছর ইতোমধ্যে ৫টি হাট বন্ধ অবস্থায় চলে গেছে। বড় অংকের ক্ষতিটা খাতায় উঠে বসেছে। ঈদের আগে বাজার খুলে দেওয়ার সম্ভাব না হলে পথে বসা ছাড়া কোন পথ দেখা যাচ্ছে না। গতবছর এ মালিক মণিরামপুরের পশুরহাট সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছিলেন ২ কোটি ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকায়। করোনার প্রভাবের কারণে গতবছর এ হাট কিনে লোকসান গুনতে হয় ৮২ লক্ষ টাকা। ইজারা মালিকেরা জানিয়েছেন, সরকারের কাছ থেকে বিশাল অংকে হাট কিনে বেশির ভাগ টাকা উঠে আসার হিসাব থাকে কোরবানির বাজার ধরে। কিন্তু এ বছর মনে হয় সে পথও এক্কেবারে বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

সূত্র জানায়, গত বছর মোটা অংকের লোকসানের বোঝা ঘাড়ে চেপে বসার কারণে এ বছর হাট ইজারা কিনতে আগ্রহী ছিলেন না কোন ক্রেতা। যে কারণে এ বছর দেড় কোটি টাকায় বিক্রি হয় মণিরামপুর পশুর হাট। যা গতবারের চাইতে অনেক কম। কিন্তু শুরুতেই করোনার প্রভাব পড়ায় চরম হতাশায় পড়েছেন হাট কিনে।

রাজগঞ্জ পশুরহাট কিনে একই অবস্থার মধ্যে পড়েছেন ইজারা মালিক যুবলীগ নেতা ইমরান খান পান্না। এ বছর রাজগঞ্জ এ পশুরহাট সরকারকে ৩৬ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকায় ইজারা নিয়েছে এই নেতা। বছরের শুরুতে করোনার প্রভাবে ৫টি হাট বসেনি। ফলে চরম হতাশার মধ্যে রয়েছেন তিনি। গতবছর ২৪ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকায় এ হাট কিনে ১০ লক্ষ টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে তাকে। বড় অংকের লোকসানের হাত থেকে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবী করে আবেদনও করেছিলেন এ হাট মালিকদ্বয়। তারা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে সরকারের নীতি-নির্ধারণীদের কাছে দেন-দরবার করেও কোন ফল হয়নি। তাই এবছরও ভয়াবহ করোনার প্রভাবে চরম ক্ষতির কথা ভাবছেন তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here