মিজানুর রহমান, মণিরামপুর
ভয়াবহ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে মণিরামপুর উপজেলার অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলের মানুষ সরকারি নির্দেশনা সঠিকমতো মানছে না। পৌরশহরসহ গ্রামঞ্চলের কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, মুদি দোকান সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলার নির্দেশনা থাকলেও সিংহ ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়মনীতি উপেক্ষা করছেন। অধিকাংশ দোকানে সাটারের তালা খুলে রেখে বন্ধের ভাব দেখিয়ে মালিক/কর্মচারী বাইরে দাড়িয়ে থেকে প্রশাসনকে ধোকা দিচ্ছেন। ক্রেতা আসলেই সার্টার উচু করে ভিতরে নিয়ে ফের বন্ধ করে ক্রেতার ইচ্ছা অনুযায়ী অহরহ পণ্য বিক্রি করে চলেছেন।
এছাড়া সরকারি নির্দেশনার বাইরে টেইলার্স, ছিটকাপড়, গার্মেন্টস, সুজ, সুতা, কৃষি পণ্য, শাড়ি-লুঙ্গি ও প্রসাধনির দোকানগুলোতে লুকোচুরি করে কেনা-বেচা করছে। অধিকাংশ দোকানিরা এক সাটার খুলে রেখে দোকানের বাইরে কর্মচারীকে দাড়িয়ে রেখে মালিক/অপর কর্মচারী দিয়ে বেচা-কেনা করছেন। এমন ঘটনা নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পৗরশহরে প্রায় ১০ থেকে ১৫টি দোকান মালিককে অর্থ দন্ড দিলেও তা রোধ করা সম্ভব হচ্ছেনা।
তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, গত দুইটি ঈদেও বেচা-বিক্রি করতে পারেনি। আগামী দুই সপ্তাহ পরে আবারও ঈদুল আযহা’র ঈদ। বিভিন্ন এনজিও, সমিতি ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। ঈদে বেচা-বিক্রি করে মহাজনের দায়দেনা পরিশোধ করার কথা রয়েছে। কিন্তু একাধারে এভাবে চলতে থাকলে ঋণ পরিশোধ-তো দূরের কথা নিজেদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে এভাবে কেনা-বেচা করতে হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের হাটাবাজার ও মোড়ের অবস্থা আরও নাজুক। সেখানে লকডাউনের কিছইু মানা হচ্ছে না। বেলা পড়ার সাথে সাথে মোড়ের চায়ের দোকানে চলছে জমজমাট চা, তাস, কেরামবোর্ড ও গল্প করার আড্ডা।