এম এম নুর আলম, আশাশুনি
করোনা ভাইরাস এর ২য় ঢেউ এ ব্যাপক সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে আশাশুনিতে প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। ফলে পূর্বের তুলনায় বিধিনিষেধ মানার ব্যাপারে যথেষ্ট অগ্রগতি পরিলক্ষিত হলেও লুকিয়ে দোকান খোলা, বাজার ও সড়কে মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও মোড়ে মোড়ে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখাগেছে। এদিন স্থানীয় রুটে কোন বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, ইঞ্জিন ভ্যান, মোটরসাইকেল চলাচাল করতে দেখাগেছে। এদিন অধিকাংশই হাট-বাজার গুলোতে দোকান-পাট লুকিয়ে লুকিয়ে খুলেছে ব্যবসায়ীরা। এসময় অধিকাংশ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও মাস্ক পরিধানে অনীহা দেখাগেছে।
এদিকে, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আশাশুনি থানা পুলিশের সদস্যরা ব্যারিগেড দিয়ে সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে কাজ করেছে। আনসার ভিডিপি সদস্যরাও একই সাথে মাঠে নেমে কাজ করেছে। উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সমন্বিতভাবে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেছেন। এসময় যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচাল রোধ, অন্যান্য বাহনের অহেতুক চলাচাল নিয়ন্ত্রণ, খুবই প্রয়োজন ব্যতীত মানুষের বাইরে বের হওয়া রোধ এবং দোকান পাট খোলা রাখার ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তৎপরতা চালান হয়। বিধিনিষেধ অমান্যের জন্য কাউকে গ্রেফতারের খবর না পাওয়া গেলেও জরিমানা করার খবর পাওয়া গেছে। এরপরও বিভিন্ন বাজারে বা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে নির্দেশ অমান্য করে দোকান খুলে রাখা, মানুষের চলাচাল বা আড্ডা দেওয়ার ঘটনা চোখে পড়েছে।
প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতি ও কঠোরতার ভয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি থাকলেও কিছু কিছু সাধরণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহার না করতে দেখা গেছে। বিকালেও দোকান পাট ও চা স্টল খুলতে দেখা গেছে। প্রশাসন ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিকালে টহল থাকলেও গাড়ির শব্দ শোনার সাথে সাথে দোকানের শার্টার/দরজা বন্দ করে দিয়ে গাড়ি চলে যাওয়ার পরপরই দোকান পুনরায় খুলতে দেখাগেছে। এব্যাপারে প্রশাসনের পাশাপাশি স্ব-স্ব এলাকার জন প্রতিনিধি, গ্রাম পুলিশ, বাজার কমিটির কাজে লাগানো যায় কিনা ভেবে দেখতে সচেতন মহল অনুরোধ জানিয়েছেন।