প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ

0
140

বেনাপোল প্রতিনিধি

বেনাপোল পোর্ট থানার ভবেরবেড় গ্রামে সপ্তম শ্রেনীর এক প্রতিবন্ধী(১৩) ছাত্রীকে ধর্ষন এর চেষ্টা করার অভিযোগ করেছে। প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে একা পেয়ে মান্না (১৯) নামের লম্পট ছেলেটি তার ফুপুর বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় সরকারী রেলওয়ের জায়গায় তার ফুপুর ওই ঘরে কেউ ছিলা না। আসে পাশের লোকজন ওই ঘরে মানুষ আছে এমন সন্দেহে ঘর খুলতে বললে ঘরে তল্লাশি করে একটি চাাউলের ড্রামের মধ্যে থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে।

ধর্ষন চেষ্টাকারী মান্না ভবেরবেড় গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে মান্না।

ঘটনাটি ঘটেছে থানার ভবেরবেড় গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় রেলওয়ে বস্তিতে শুত্রুবার সন্ধ্যা ৭ টার সময়।

ভুক্তভোগি সপ্তম শ্রেনীর প্রতিবন্ধী মেয়েটি বলে সন্ধ্যার সময় কেউ আশে পাশে ছিল না; তখন মান্না আমাকে টিউবয়েল থেকে মুখ চেপে ধরে তার ফুপু ছায়রা বেগমের ঘরে নিয়ে যায়। আমাকে চিৎকার করলে গলা টিপে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এর জন্য আমি চিৎকার করতে পারি নাই। এরপর পাশের বাড়ির ময়না আমাদের ঘরের মধ্যে কথা শুনতে পেয়ে ওই ঘর খুলতে বলে লোকজন ডেকে। এসময় মান্না আমাকে চাউলের ড্রামে ঢুকিয়ে দেয়। পরে আমার শ্বাস প্রশ্বাসে অসুবিধা হলে আমি ড্রাম থেকে বের হয়ে সত্য কথা বলে দেই।

পাশের বাড়ির ময়না বলে আমি ঘরের মধ্যে ফুস ফাস শব্দ শুনতে পাই। তখন আশে পাশের লোকজনকে বালি এই ঘরে কেউ আছে। তখন সকলে এসে ঘর খুলে দেখে সেখানে মান্না ছাড়া আর কেউ নেই। এরপর ভালো করে তল্লাশি করতে বললে ঘরের খাটের নীচে থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।

ভুক্তভোগি প্রতিবন্ধী মেয়ের মা জেসমিন খাতুন বলেন, তার মেয়ে বাড়ি থেকে খাল পার হয়ে এপারে আসলে এলাকার দুষ্ট প্রকৃতির ছেলে মান্না তাকে মুখ চেপে ঘরে নিয়ে ধর্ষন চেষ্টা করে ধস্তাধস্তি করে। এরপর তাকে খুজাখুজি করে ওই ঘর থেকে উদ্ধার করে। এনিয়ে এলাকার গন্য মান্য ব্যক্তিরা বিচারের আশ্বাস দিলেও বিচার না পেয়ে ানায় অভিযোগ করি। তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ের কেলেংকারী হয়েছে তার সাথে মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে নইলে আদালত যে বিচার করবে সেটা সে মেনে নিবে।

ছায়রা বেগম বলেন, ওই মেয়েটি একাধিক জায়গায় হাতে বড় একটি ফোন নিয়ে কথা বলে থাকে। সে খুব একটা ভালো নয়। মান্না তাকে জোর করে ঘরে নেয়নি। এটা আপোসে তার ঘরে গিয়েছিল। তাকে ধর্ষন করে নাই। যদি মান্না তাকে বিয়ে করতে চায় তবে তার সাথে আমরা বিয়ে দিয়ে দিব। মান্না কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে ভয়ে পালিয়েছে।

স্থানীয়রা বলেন, তারা উভয়ে অনেকদিন যাবৎ কথা বার্তা বলত। তাদের ঘনিষ্ট সম্পর্কও ছিল।

এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার অভিযোগের তদন্ত অফিসার এসআই সোহেল হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষন এর কোন আলামত মেলে নাই। তবে জোর করে ধর্ষন চেষ্টা করেছিল কি না তারা আপোষে ওই ঘরে কথা বলেছিল তা আরো তদন্ত করে দেখা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here