বেনাপোল প্রতিনিধি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে স্বল্প সময়ে এবং কম খরচে জনগনের দোরগোড়ায় ডাক সুবিধা পৌছে দেয়ার মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন এবং সততা, বিশ্বস্ততা ও জনসেবার ব্রত নিয়ে ভৌত, আর্থিক, ইলেকট্রোনিক্সসহ সব ধরনের মানসম্মত সার্ভিস প্রদান করার মাধ্যেমে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ দেশে যেমন কাজ করে যাচ্ছে তেমনি আন্তর্জাতিক সেবা ও প্রদান করছে। তবে আগের চেয়ে অনেকটা চিঠিপত্র লেন দেন মানিওর্ডার কমে যাচ্ছে বলে অনেকে ধারনা করছে। বেনাপোল দিয়ে দেশ বিভাজনের আগে ডাক যেত ভারত, পাকিস্থান। এরপর দেশ বিভাগের পর থেকে ভারতের সাথে এই যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানটি এখনো সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। একসময় বেনাপোল নোম্যান্স্যান্ডে উভয় দেশের ডাক লেনদেন হতো প্রতিদিন। এখন সপ্তাহে এক ১দিন দেখা যায় গাড়ি আসতে। হেরে যাচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির কাছে।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগ দেশের বিভিন্ন দেশের ন্যায় ভারতের সাথে ও ডাক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। তবে প্রতিবেশী এই রাষ্ট্রের সাথে সরাসরি নোম্যান্সল্যান্ডে দুই দেশের গাড়ি থেকে ডাক লেন দেন হয়। আগের চেয়ে চিঠি পত্র কম হলেও পার্সেল, ডকুমেন্টস যেতে দেখা যায়। তবে তুলনামুলক ভাবে কম। আগে প্রতিদিন এই সীমান্তে ডাক লেন দেন করত উভয় রাস্ট্র। এখন সপ্তাহে ১দিন লেনদেন হয়ে থাকে বলে জানা গেছে।
বেনাপোল চেকপোষ্টে আশাদুজ্জামান আশা বলেন, ডাক বিভাগ অত্যান্ত বাংলাদেশ সরকারের একটি বিশ্বস্থ সেবা মুলক প্রতিষ্ঠান। তবে বেসরকারী কিছু কুরিয়ার এর কাছে এই প্রতিষ্ঠানটি মার খেয়ে যাচ্ছে। কুরিয়ারের চেয়ে আবার ডাক বিভাগে খরচও কম। তবে কিছু অসুবিধা ও আছে। যেমন বিকেল পাঁচটার পর টাকা জমা কিংবা উত্তোলন করা যায় না। আবার শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারনে বন্ধ থাকে ডাকঘর। এসব সমস্যা দুর করতে হলে কুরিয়ার ও বিকাশ এরমত লেন দেন শুরু করতে হবে। এছাড়া ভারতের সাথে এখন খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলারও ওই একটি কারন। আধুনিক প্রযুক্তির কাছে হার মানছে ডাক বিভাগ।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের যশোর অফিসের সামিউল হোসেন বলেন, সপ্তাহে বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে ডাক লেন দেন হয় মাত্র ১দিন। এখানে উভয় দেশের চিঠি পত্র, মুল্যবান ডকুমেন্টস, পার্সেল বুঝে নেওয়া হয়। এসব বুঝে নিয়ে দুই দেশের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর শেষে সব কিছুর বিবরন নিয়ে আবার উভয় দেশের গাড়ি নিজ দেশে প্রবেশ করে। আগে এই পথে উভয় দেশের ডাক লেন দেন হতো।
বেনাপোল নোম্যন্সল্যান্ডে ভারতের ডাক বিভাগের কর্মকর্তা অর্জুন পাল বলেন, ডাক বিভাগ শুধু চিঠি আর পার্সেল পৌছে দেওয়ার কাজ করে না। এর বাইরে ব্যাংক, পেনশন তহবিল ও প্রাথমিক সঞ্চয় রাখার সুবধিার কাজগুলোও করে। ক্ষুদ্র আয়ের লাখ লাখ মানুষ ডাক বিভাগের এসব সেবা নিয়ে থাকেন। এসবের বাইরে ডাক বিভাগ এখন জরুরী চিকিৎসা সরঞ্জাম ্ওষুধ সরবরাহের কাজ করছে। মানুষের জীবনের জন্য অতি প্রয়োজনীয় এসব জিনিস তারা এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে, রাজ্যেও শহর থেকে গ্রামে পৌছে দিচ্ছে যতœ করে। করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লক ডাউনের পর ডাক বিভাগের কাজ বেড়ে গেছে।