বিশেষ প্রতিনিধি
যশোর শহরের পূর্বপাড়া সরদারপাড়ার ফারহান আক্তার বন্যা নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সে ওই এলাকার মৃত হাশেম শেখের ছেলে ইমরান শেখের স্ত্রী ও একই এলাকার ইবাদ খানের মেয়ে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন।
নিহতের বোন আবেদা আকতার বাঁধন বলেন, আমার বোনের সাথে ভগ্নিপতি ইমরানের সব সময় পারিবারিক কলহ গেলেই থাকত। এর জের ধরে গতরাতে বন্যাকে তার স্বামী বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। বন্যার দশ বছরের ছেলে উৎস বলছে, গতরাতে মা আমার বাবার কাছে গয়নাগুলো চায়। বাবা দিতে চায়নি।
এ নিয়ে বাবা-মার মধ্যে খুব ঝগড়া হয়। রাতে আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। সোমবার সকালবেলা দেখি মায়ের মৃতদেহ পড়ে আছে; মুখের ওপর বালিশ দেওয়া। মুখ দিয়ে গ্যাঁজা বের হচ্ছে। বাইরে থেকে ঘরের দরজা দেওয়া ছিল। আমি চিৎকার দিলে পরিবারের লোকজন দরজা খুলে আমাকে ও বোনকে বাইরে বের করে।
বন্যার মামা নবিরুল ইসলাম নবী বলেন, করিম গ্রুপের একটি গাড়ির চালক ইমরান। সে ইয়াবা সেবন ছাড়াও বিক্রি করতো।
কোতয়ালী থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। যতটুকু জেনেছি লাশের পাশে বিষের আলামত পাওয়া গেছে। তবে মৃত্যুটা রহস্যজনক- এটা নিশ্চিত। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। কেউ চাপা দিয়ে মারলে বালিশ তো লাশের মুখের ওপর রেখে যাওয়ার কথা না। বিষয়টি পুলিশ খুবই গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানা যাবে।