সত্যপাঠ ডেস্ক
যশোরের বড় বাজারের কাঁচাবাজার নিয়ে জটিলতার কোন নিরসন হয়নি। কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের তাদের ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু এই ধর্মঘটের কারণে প্রশাসন আরো কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এদিকে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতো ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। যশোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমান সবজিভ্যান কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভ্যানের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ সবজির দোকান শহরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় পৌঁছে যাবে এবং সেখান থেকেই ন্যায্যমূল্যে সবজি কেনা যাবে। বড়বাজারের সবজি ব্যবসায়ীদের ঈদগাহে না যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। এসব বিষয় বিবেচনা করেই প্রশাসনের প থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে প্রশাসনের প থেকে জানানো হয়েছে।
রোববার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, যশোরের অন্যতম প্রধান কাঁচাবাজার বন্ধ থাকায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। বড়বাজার ও ঈদগাহ ঘুরে সবজি না পেয়ে শহরের আশপাশ থেকে তা সংগ্রহ করতে হয়েছে সবাইকে। অনেককে সবজির দামের থেকে যাতায়াত খরচ বেশি গুণতে হয়েছে।
এদিকে, সোমবারও ুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের দাবির বিষয়ে অনড় অবস্থানে ছিলেন। তারা বাজার বসাননি। একইভাবে তির মুখে পড়তে হয়েছে আড়ৎদারদের। এদিন তারা দাবি করেছেন, যশোর শহরের আশপাশ থেকে আসা ুদ্র ব্যবসায়ীদের মালামাল কিনতে বাধা সৃষ্টি করেছেন বড়বাজারের ুদ্র ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে ুদ্র বাজার ব্যবসায়ীদের দাবি, বৃষ্টির মধ্যে কোনোভাবেই ঈদগাহে ব্যবসা করার পরিস্থিতি নেই। তারা মানবতার জীবন যাপন করছেন। সমস্যা ও দাবি নিয়ে সোমবার তারা জেলা প্রশাসক ও পৌরমেয়র বরাবর স্মারকলিপি জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতা সুশান্ত সাহা।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, এখন থেকে মানুষকে সবজি কেনার জন্য বাজারে আসতে হবে না। নয়টি ওয়ার্ডে আঠারোটি ভ্যান মানুষের দৌড় গোড়ায় সবজি পৌঁছে দেবে।
তিনি আরও বলেন, বড়বাজার করোনা ভাইরাস বিস্তারের অন্যতম স্থান। মাছবাজার সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কাঁচাবাজার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মুদি দোকান খোলা রয়েছে ঠিকই তবে তারা যদি নির্দেশনা না মেনে চলে তবে প্রয়োজনে বড়বাজারই লকডাউন করে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসনের প থেকে বড়বাজারের সবজির দোকান বন্ধ করে ঈদগাহে বাজার বসানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু, ব্যবসায়ী তা না মেনে পাল্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। দু’দিন তারা বাজার বসাননি। এতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এবার ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে জেলা প্রশাসকের প থেকে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।