এস.এম মুসতাইন, বসুন্দিয়া
সারাবিশ্বে করোনার মহামারী পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, বাংলাদেশেও ব্যাপক হারে প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে, দেশে চলছে কঠোর লকডাউন, এই সুযোগে দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে হু-হু করে বাড়ছে, সাধনা মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, নিম্ন আয়ের দিন আনে দিন খায় এমন মানুষরা চরম বিপাকে।
কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে শনিবার (৩ জুলাই) বসুন্দিয়া বাজার ঘুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র দৈনন্দিন শাক সবজি তরিতরকারির কাচা মালের দাম তিন চার দিনের ব্যাবধানে আকাশ ছুয়ে গেছে। সেই সাথে চাল, ডাল, মসলার দামও বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছে কঠোর লকডাউনে গাড়ি বন্ধ, আমদানি কম। বাইরের জেলা গুলো থেকে কাচা মাল চাহিদা অনুযায়ী আসছে না।
স্থানীয় গ্রাম গুলো থেকে যা আসছে তাতে চাহিদা পুরন করা সম্ভব হচ্ছে না। যারফলে চড়া দামে কিনে বিক্রি করছে। এতে মানুষের সাংসারিক চাহিদা অনুযায়ী সাধ্যমত কিনতে ব্যর্থ হচ্ছেন নিম্ন আয়ের দিন মজুরি ও সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জিনিস পত্রের দাম আরো বাড়তে পারে।
শনিবার কাচা বাজারে আড়ত থেকেই খুচরা বাজারে অনেক ব্যবধান লক্ষ করা গেছে। কাচা মরিচ, ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা, রসুন ৬০ টাকা, আলু- ২২থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, ভেন্ডি ৫০ টাকা, মিষ্ট কুমড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাচা কলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মসুর ডাল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, বুটের ডাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মটর ডাল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৩০ থেকে ৪০ টাকা, সরিষার তেল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, নারকেলের তেল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।
এদিকে লবনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা, চাউলের মূল্য বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা, মোটা চাউল ৪৮ টাকা, চিকন মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, বাসমতী ৭০ থেকে ৯০ টাকা।
আবার জিরে, লবঙ্গ, এলাচ ফল, দারচিনি সহ আদার দামও বেড়েছে বলে দোকানদাররা জানান। চলমান কঠোর লকডাউন তারপর সামনে কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করেছে। নিম্ন আয়ের মানুষের সাংসারিক চাহিদা অনুযায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আয়ের সাথে খরচের মিলাতে রীতি মত হিমসিম খেয়ে উঠছেন সাধারন মানুষ। তাছাড়াও দিন আনে দিন খায় দিন মজুরিদের এখন জিনিস পত্রের দাম বাড়াতে কষ্টের পোহর গুনতে গুনতে নাভিশ্বাস।