এস.এস মুস্তাইন, বসুন্দিয়া
দেশে করোনার প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে। বাঘারপাড়ার দক্ষিণাঞ্চল ও যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া এলাকার সাধারণ মানুষ লকডাউন মানছে না ঢিলেঢলা পরিবেশ। এ অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে দুপর পর্যন্ত বাজার গুলোতে ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দোকানপাট ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে সাধারণ মানুষ বেচা কেনা করতে লক্ষ করা গেছে।
শনিবার বসুন্দিয়ার হাটেও একই পরিস্থিতি। দেখা গেছে ভোর থেকে বিভিন্ন এলাকার মানুষ বেশির ভাগ কাঁচা বাজারে ভীড়। সেই সাথে মাছের বাজারেও কমতি ছিল না মানুষের সমাগম। এদিকে সকালে আলাদীপুর বাজারে সড়কের উপর ধানের হাটেও উপচে পড়া ভীড় ছিল। দুপুরের পর আস্তে আস্তে বাজার ফাঁকা জন শুন্য হয়ে গেলেও বিকালে অলিগলিতে লুকিয়ে গ্রামের সাধারন মানুষ চা সিগারেটের নেশায় ছুটে আসছে। গ্রাম পুলিশ সদস্যরা সহ স্থানীয় ইউপি সদস্যগন জনগনকে সচেতন করার আপ্রাণ চেষ্টায় হিমসিম খেয়ে যাচ্ছেন।
কথা হয় বাসুয়াড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জাহিদ সরদার গ্রাম পুলিশ চৈতন্য দাস ও জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান সরদার গ্রাম পুলিশ কৃষ্ণ পদ দাস এ প্রতিবেদককে বলেন মানুষ বুঝতে পারছে না করোনা ভাইরাস কি। কেন সরকার লকডাউন দিছে, কি খাবো এ সব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তারপরও বুঝিয়ে বলতে হচ্ছে মানুষকে।
নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি দুর্দিনে পড়েছে। ভ্যান রিকশা সিএনজি চালক ও চা বিক্রেতা চুল কাটা সেলুন মালিকগনের বিপাকে পড়তে হয়েছে এ লকডাউনে। চা বিক্রেতারা চুরি করে বাড়িতে, নির্জন বাগানে এখন তাদের ব্যবসা চলছে পেটের দায়ে। রিকশা ভ্যান চালকরা প্রধান সড়ক ছেড়ে দিয়ে বিকল্প গ্রাম্য রাস্তায় জীবিকার তাগিদে নেমে পড়ছেন। কিন্তু গ্রাম্য সাধারণ মানুষ বাজার ছাড়ছে না কেন? আসলে কি অভ্ভাসে পরিনত এ প্রশ্ন সচেতন মাুনষের মুখে মুখে।