মোকাদ্দেছুর রহমান রকি
যশোর মণিরামপুর উপজেলার মধুপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। অন্ধকার যুগথেকে বেরিয়ে আসায় নিজদলীয় সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান। একই সাথে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমান না পাওয়ায় দুইজনকে অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে।
অভিযুক্তরা হলেন, মণিরামপুরের বাহাদুরপুর গ্রামের কাওছার আলীর ছেলে আবু মুছা, সিদ্দিকের ছেলে রায়হান, জলিল গাজীর ছেলে হাসান আলী, উত্তর বাহাদুরপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে সেলিম, অয়নগরের সরখোলা গ্রামের আনছার ওরফে আনোয়ারের ছেলে রজিব, ডাঙ্গা মশিহাটি গ্রামের মহাদেপ পাড়ের ছেলে সমিরন পাড়ে, নওয়াপাড়া অধীর ঘোষাইয়ের ছেলে শংকর, আয়নাল হক ভুইয়ার ছেলে হেলাল ভুইয়া, বুইকারা গ্রামের মহির শেখের ছেলে শেখ আরমান ওরফে সিডর আরমান, ফুলেরগাতী গ্রামের প্রহুদ মল্লিকের ছেলে প্রকাশ চন্দ্র মল্লিক, খুলনা দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের পালিত ছেলে রাকিব হোসেন বাপ্পি ওরফে শিপন।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, নিহত রফিকুল ইসলাম পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য ছিল। হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। ঘটনার কয়েক মাস আগে তিনি পার্টি থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার উদ্যেশে একটি ইজিবাইক কিনে ভাড়ায় চালত। নিজেরদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে আসামিরা নব্য পূর্ব বাংলা কমিউস্টি পার্টি তৈরী করে এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করত। রফিকুলের সাথে মুছার বিরোধের জের ধরে রফিকুরকে হত্যার পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যা মামলার তদন্তকালে পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আটক ও হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দেয়।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম ইজিবাইক চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করতেন। ২০২০ সালের ৯ জুলাই সকালে তিনি ইজিবাইক নিয়ে ভাড়া চালানোর উদ্যেশে বাড়ি থেকে বের হন। অভয়নগরে যাত্রী নামিয়ে তিনি মণিরামপুর ফেরাপথে সুন্দলীগামী পাকা রাস্তায় পৌঁছালে দুপুর সোয়া ১টার দিকে অপিরিচিত সন্ত্রাসীরা তার গতিরোধ করে গুলি ও জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে নিহতের স্ত্রী শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে মণিরামপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
এদিকে, হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় আটক হাদিউজ্জামান রানা ও তাপস মন্ডলের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে। চার্জশিট অভিযুক্ত চারজন বাদে সলক আসামিকে পলাতক দেখানো হয়েছে।