এম এম নুর আলম, আশাশুনি
সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউয়ে করোনার সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউন চলছে। লকডাউনে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত বাজার খোলা রাখার নির্দেশ অমান্য করে আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা মোকামে বিকাল পর্যন্ত হাট বসেছে। উপজেলার বৃহত্তর মোকাম বুধহাটা বাজার। বাজারে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে থাকে।
সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে শুক্রবার বুধহাটা মোকামে সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত হাট চালান হয়েছে। স্থায়ী দোকানগুলো সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত চলে আসছিল। অন্য দোকানও একই ভাবে চলছিল। কিন্তু শুক্রবার সকল নির্দেশনা অমান্য করে সকাল ৭টা থেকে বাজার শুরু করা হয়।
গরুর হাট, হাঁস-মুরগির হাট, আটন-ঘুনি, তরি তরকারি, মাদুর, ঝুড়ি-পাটা, আম-কাঠাল থেকে শুরু করে সকল দ্রব্যের কেনাবেচা চলে এসময়। হাজার হাজার মানুষ হাটে সমবেত হয়। স্থায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান- মুদিখানা, চাউল-ধান, হার্ডওয়ার, মিল-কারখানা, কাপড়ের দোকান, হোটেল রেস্তরা প্রভৃতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জরিমানার ভয়ে সেভাবে খুলেনি। হাটে এস অধিকাংশ মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করতে দেখা যায়। গরুহাটে পারুলিয়া, আঠার মাইল, চুকনগর, যশোর, সাতমাইলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ফড়িয়ারা হাটে আসেন। হাট বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলে।
করোনা প্রাদুর্ভাব রোধে হাটের হাজার হাজার মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বহাল তবিয়তে হাটে একেবারে গায়ে গায়ে বিচরণ করেছে। এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খাঁন বলেন, হাট বসিয়ে থাকলে ওসিকে বলে ও বাজার কমিটিকে বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবির জানান, আমি এখনই পুলিশ পাঠাচ্ছি। এলাকাবাসীর দাবী বিষয়টি গুরুত্বসহ নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।